♣           ছেলেটা এখন কবিতা লেখে!
              অনেকেই তাকে পাগল বলে!
                কেউবা আবার কবি ডাকে
               তার নাকি মাথাটাই গ্যাছে!!


ঐযে তিস্তার পাড়ে  কাশবন এর ধারে
প্রতিদিন নিয়মকরে বসে থাকা ছেলেটা
পলকহীন চেয়ে থাকে আকাশপানে
কি যেন খুঁজছে! কাউকে যেন খুঁজছে!!
হয়ত আকাশের কোন পরীধরার খেলায় নিমগ্ন
নয়ত মেঘেদের রাজ্যেশ্বরী তার প্রেমে হাবুডুবু
আকাশ, পাখি, নদীর সাথে অন্যরকম সখ্যতা
পানকৌড়ির উড়ে যাওয়া, জলে নেমে খেলা করা
  মাছেদের চলাফেরা, মেছোদের জাল টানা-
  এসব দেখে দেখেই কাটে তার সারাবেলা।।


  বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ চুকিয়েই সরকারি চাকুরে!
  এ গাঁয়েরই ছেলে, সবাই খুশি হয়েছিলো,
  বাবা- মা, ভাই-বোন, পাড়ার লোক, বাচ্চু মামা-
  এমনকি রেশমী আর  চুমকির বাবাও!
সবার খুশির রেশ কাটতে না কাটতেই চাকুরীতে ইস্তফা!!
এ যেন গানের শুরুতেই সুর ছন্দের অনাকাঙ্ক্ষিত পতন!!
কিসব কাজ করতে বলেছিল তারা?
যা করলে আদতে ছেলেটারই লাভ হতো!
কিন্তু না- সে করে নি!
অগত্যা ইস্তফা দেয়াই ঢের ভালো!!
নিজেতো কাবাব মে হাড্ডি- তাই
কাবাবচিনি কেউ এসে - তার চেয়ারটাতে বসুক,
এতেই সবার মঙ্গল।।


ছেলেটা এখন কবিতা লেখে
অনেকেই তাকে পাগল বলে!
কেউবা আবার কবি ডাকে
তার নাকি মাথাটাই গ্যাছে!!


কোথাও যেন মিল খুঁজি
ঐ ছেলেটা যখন - পাগলাটে কবি!!


ইবনে মিজান
১৬:২৬/০২-০২-২০১