ইট-পাথরের এই শহরে
কেউ উড়ায় কেউ উড়ে
কেউ ছুটায় কেউ ছোটে
কেউ ভাঙ্গে তো কেউ গড়ে!
যখন, ভাঙ্গাগড়ার উন্মত্ততায় মহাজগৎ বইছে
তখন, বিস্তীর্ণ নদীখাতের মধ্যিখান দিয়ে কেউ
সন্তুষ্টচিত্তে কোথাও প্রবেশ করে নাকি স্বর্গে চলে যায়?
সে ব্যাপারে উদাসীন লোকেরা আমার দলেই থাকুক,
হাহুতাশ করা বেখেয়ালি লোকেদের সংস্পর্শ অনভিপ্রেত, আর বাকির খাতায় যারা থেকে যায় তারা ভাবুন-
আপ্নারা ভাবতেই পারেন, "অনন্তকাল রইবো এই সব পেয়েছির দলে।"
বস্তুত, আজতক যা পেয়েছেন কিংবা অদূরে যাকিছু পাবেন তার সবটাই লবডঙ্কা; টিকিয়ে তো রাখেই না, বরং নষ্ট করে ছাড়ে!
ঐ নষ্টদেরই দানবমুঠোতে ধরা পড়ে যায় সাধারণের  সর্বসুখ;
রঙ্গিন রাতের রঙ্গিলা গান
ওয়াইনের মোহে রঙ্গিলীর ধ্যান
যেখানে সময় বুঝে সময়ের দাবি তোলা যেতেই পারে
বলা যায় তিনশ একান্নটি গোলাপের সুগন্ধি ঘ্রাণের গল্প,
ফুলে ফুলে ভ্রমণের টান, প্রতি টানে মোহিত ঢেলে সাজানো হয় জীবন, আহা! এটাই জীবন-হোক বিমোহিত প্রাণ।
অতঃপর, গল্পটি সকরুণ
মোহাবিষ্ট চালকের গম্ভীর প্রস্থান!
গহীন অন্ধকারের পথে যেতে-যেতে বলে যায়,
ভোগে নয় ত্যাগেই মহান।


°
°
°
মোহ


______ রশিদ ভাই
  চার এগারো কুড়ি
  কল্যাণপুর, ঢাকা।