পরজীবী
তোমার স্বরতন্ত্রীয় স্বাধীনতার জন্য,
সালাম, বরকত, রফিক, জব্বার কেন জীবন দিল?
তোমায় পরাধীনতার শৃঙ্খলমুক্ত করার জন্য,
হ্যামিলনের বাঁশীবাদক ৭ মার্চ কেন ভাষন দিল?
তোমার স্বাধীনতার জন্য নয় মাস রক্তক্ষরণ হল,
৩০ লাখ মানুষ কেন জীবন সঁপে দিল?
তোমার স্বাধীনতার জন্য তোমার মা-বোন-ভগ্নি,
নয়টি মাস ধরে কেন মুখ বুঝে সহ্য করল নরকের অগ্নি?
মহাশক্তিধর শিকারিকে শিকার করে,
ত্যাগ তিতিক্ষিত তোমার স্বাধীনতা,
কেন এল ১৬ ডিসেম্বরে?
এখন নিজেকে তুমি স্বাধীন দাবি করছ,
হাসি পায়, তুমি স্বাধীন হলে কেমন করে!
তুমি এখনো স্বাধীন হতে পারোইনি গো;
তুমি হারিয়ে ফেলেছ, নাহয় ধরে রাখতে পারোনি
স্বাধীনতার সেই মহান চেতনা,
তোমার বুকে আশ্রিত যারা, তারাতো লালন করেই না,
না খেয়ে এখনো ফুটপাতের শিশুটি ঘুমিয়ে পরে,
তোমার বুকে এখনো অন্যায়ভাবে রক্ত ঝড়ে,
এখনো তোমার বোন-ভগ্নির শরীর, কীটেরা খায় কুড়ে কুড়ে।
তোমার নদীতে এখনো ভাসে বেওয়ারিশ লাশ
তোমার ছেলেরাই যেখানে উচ্চশিক্ষিত ত্রাস,
তোমার দেশের সম্পদ এখনো পাচার হয়,
তারাই তোমার উন্নতির প্রধান অন্তরায়।
তোমার বুকের উপর চলে হরেক রকম চালবাজি
তোমার জন্য হয়ত ধরবেনা আর কেউ জীবনবাজি,
তোমার বুকেপিঠে এখনো দেখা যায় রক্তের দাগ,
ফতোয়াবাজী এখনো চলে বাজিয়ে ধর্মেরঢাক।
ক্ষীনবল, ক্ষীণকায় প্রতিনিয়ত নির্যাতিত হয়,
ক্ষমতাধর যারা, তারা সাধু সেজে রয়,
সবিই গেছে আস্তাবলে, তুমি স্বাধীন নয়;
পেরেছ কি স্বাধীন হতে?
পারোনি, সত্যিই তুমি পারোনি-
তোমার কোন ক্ষমতাই নেই,কোনপ্রকার স্বাধীনতা নেই,
তুমি এখনো হয়ে আছ পুরোমস্তিষ্ক পরজীবী।