শরীরের ভাঁজে ভাঁজে যৌনতা খুঁজে ফেরার সময় প্রেম থাকে? যদি থাকে, তবে ওরা সবাই প্রেমিক! যারা নগ্ন কিংবা অর্ধনগ্ন শরীর দেখলেই কাম দেবের আরাধনা করতে শুরু করেন। ভদ্রলোকের ভাষায়:
এটাকে যৌবনের অপব্যবহার বলা হয়।


আবার, পরস্ত্রীগমন করা ভদ্রলোকেরা দূরে মালী হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন, সে মালী অন্যের গাছের ফল লতাপাতা গুল্ম রস নিংড়ে খাবেন, কিন্তু নিজের বাগানে হাত পর্যন্ত লাগাতে দেবেন না!
তার বাগানের চতুর্দিকে লাল পতাকা, হাজার কুড়ি খরচে নিরাপত্তার ঘেরাটোপ।
নিশ্চিন্ত নিরাপত্তার ঘেরাটোপে রক্ষিত গাছপাকা ফল
তার অজান্তেই নিশীথের বগদুল চেটেপুটে খায়।
বাগানে চৌদিকে ঘেরাটোপ থাকলেই কী!
উপরের দিকটাতে খেয়াল রাখতে পারেননি যে!!
শশব্যস্ত মালী তখন অন্যের বাগানে মৌচাষি!


অবশ্য কোনকিছুতে তার দোষ নেই,
ও বাগানের ডাল যদি হেলে আসে,
তবে আর কীই-বা করার থাকে?
তাছাড়া, প্রেমের দেবদেবীদের প্রভাব সর্বদাই বিদ্যমান।
তথাপি, ভদ্রলোকেরা -
একে যৌবনের প্রতি অত্যাচার, অপব্যয় বলছেন!
সে তারা যাখুশি বলুক।
প্রেম কি বাধা মেনেছে কখনো?
অথবা, নতি স্বীকারের মানদণ্ড?
এসবের প্রশ্নই আসে না!
দেখুনতো,
পাঁচতারা হোটেল থেকে মোটেল- কটেজ -বাংলো- খাসকামরা -পার্ক -রেস্তোরাঁ- অলিগলির চিপায়- রানু বৌদির বাসায় -কামরানের চিলেকোঠা- ছাত্র বেকার কর্মজীবীর হোস্টেল - পাশের বাড়ি -সেলিমের চায়ের দোকান -বাবুদের ফ্ল্যাট- নাশিদের কারে লংড্রাইভ-সরকারি কোয়ার্টার - পৃথিবীর কোথায় প্রেম নেই?


আচ্ছা, শরীরে কী প্রেম থাকে?
যদি থাকে, তবে ওরা সবাই প্রেমিক।
আসলে গাছপাকা ফল, পচে যায় না,
মানে পচতে দেয়া হয় না, তাই বগদুলে খায়!
এ বাগানের বগদুল ও বাগানে
ও বাগানের বগদুল সে বাগানে
সে বাগানের বগদুল এ বাগানে
ওরা বগদুল নামের পাহারাদার
এক বাগানের মধুতে ক'জনে তুষ্ট হয়?


ভদ্রলোকের ভাষায়:
যৌবনপোড়া মরাকাঠ দেহখানি তার
সর্বনাশের চেলাকাঠ খোঁজে পরপার।।