ছোটবেলায় ঢের দেখেছি, সমাজের অপেক্ষাকৃত অনগ্রসর অংশের দরিদ্র নারীরা শাড়ি পরতেন।
শাড়ির নিচে পরতেন পেটিকোট
কিন্তু, ব্লাউজ পরতেন না!
আবার
অতি দরিদ্র বা হত দরিদ্র নারী পেটিকোটও পরেন নাই!
শুধুই একটা শাড়ি দিয়ে লজ্জা নিবারণ!
কেউ কেউ আবার শাড়ি ব্লাউজ কোনটাই নয়
শুধুমাত্র পেটিকোট বুকে বেধে রাখতেন যেটা তার হাঁটু পর্যন্ত ঢেকে রাখতো!
সেসময় বনেদি বাড়ির বউয়েরা শাড়ির নিচে পেটিকোট এবং বক্ষবন্ধনী হিসেবে ব্লাউজ পরতেন। অবশ্য, তাদের অনেকেই বাড়িতে থাকাকালে কখনোই ব্লাউজ পরতেন না! অভ্যাসগত কারণে।
তবে, বাড়ির বাইরে গেলে অবশ্যই ব্লাউজ পরে যেতেন
তাদের শাড়ির সাথে কালার ম্যাচিং করে ব্লাউজ এবং পেটিকোটগুলো তৈরি করা হতো!
কিন্তু পরবর্তীতে তারা কোনটার সাথে কোনটা পরতেন তা নির্ধারণ হতো কাপড়ের বয়স এবং অবস্থার উপর ভিত্তি করে!
তখনকার দিনে মাথায় করে বয়ে নিয়ে গ্রামে ঘুরে ঘুরে ভ্রাম্যমাণ শাড়ি কাপড় ব্যবসায়ীরা হাঁক ছাড়তেন এভাবে:
এই শাড়ি কাপড়... এই শাড়ি কাপড়...
কোনো বাড়ির মহিলা তার ডাকে সাড়া দিলেই
দোকানী মাটির উপর পসরা সাজায়
তাকে ঘিরে জমে উঠতো সববয়সী নারীদের ভীড়!


আজকাল আর শাড়ি কাপড়ের সেইসব ভ্রাম্যমাণ দোকানী খুব একটা দেখা যায় না
তবে মজার বিষয় হলো
এখনকার প্রায় সকল নারী শাড়ি ব্লাউজ এবং পেটিকোট পরেন
কী ধনী কী গরীব, সবাই পরেন
আজকাল মেক্সি পরার প্রচলন বেড়েছে
বেড়েছে হিজাব পরা নারীর সংখ্যা
বেড়েছে বোরকা পরিহিতা রমনীর সংখ্যাও
তখনকার দিনে চিলমারীর বন্দর যতটা বিখ্যাত ছিলো
তেমনই বিখ্যাত ছিলো চিলমারীর কোনো এক রমনীর মাছ ধরার জাল পরিহিত অবস্থায় একটি স্থিরচিত্র!
দেশে বিদেশে এনিয়ে অনেক  কথাও হয়েছে সেসময়।
যাইহোক, আজকাল সেখানকার নারীরাও শাড়ি ব্লাউজ পেটিকোট মেক্সি হিজাব বোরকা সালোয়ার কামিজ পরেন! আধুনিকা নারীরা জিন্সের প্যান্টও পরে থাকেন। নারীদের বিভিন্ন পোশাক নিয়া ডিজাইনের বিজনেসটা বেশ ভালোই চলছে আবহমান কাল ধরে!
আর কতশত চমকপ্রদ সেই সব পোশাকের নাম
শুনেছেন তো অবশ্যই, কী, শোনেননি?
নিশ্চয়ই,
দু'চার গন্ডা পোশাকের নাম আপনিও বলতে পারেন?
যদি পারেন, তবে বলে ফেলুন প্রয়োজনে লিখে দিন
কেননা,
নারীর কাপড় নিয়া আজকাল বেশ টানাটানি চলছে..
আপনিই বা কেন বাদ পড়বেন!