শরীরে ভাঁজে গুজে দেয় তপ্ত রোদের জ্বলন্ত কষ্ট;
ছুঁয়ে পড়া ঘামে সৃষ্টি হয় কৃষকের ইতিহাস,
বেলা গড়ালেও স্থান হয় না শান্ত দীঘির জলে!
রাতের আঁধারে উঠোন জুড়ে এক মুঠো ঠাঁই,
ক্লান্ত শরীর পাটির পৃষ্ঠে মৃত হয় ঘুমযোগে ।
ঘুম মৃত্যুর পর আবার ফসলের সেবায় নিয়োজিত থাকেন;
অভাবের দরজায় তবুও প্রতিদান সন্তুষ্ট হয়ে প্রবেশ করে না;
রোদের পুরোটা বয়সে বিশ্রামের ছুটি হয় না,
হাতের তালুতে আঁকা হয় পাহাড়ের গিরিপথ,
পায়ের জমিনে সৃষ্টি হয় ফসলের মানচিত্র;
তবুও ফলাফলে হেরে যায় ঋণের বোঝার ওজনে,
সন্তুষ্টির ঔষধে বিনিময় হয়ে আসে সুদ;
মূল্যহ্রাস হতাশা হয়ে নামে!
তারপর বড় হতে থাকে ঋণ,
সুদের খাতায় সমঝোতা হয় ভিটেবাড়ি স্বাক্ষরে,
শিক্ষার দরজায় ক্ষুধা ঝুলে সন্তানের ।
তারপর একদিন কৃষকের আত্মহত্যার সংবাদ বাতাসে ভাসে,
কৃষক বিখ্যাত হয় 'নেশাগ্রস্থ ' বদনামে,
বদনাম মানুষের বংশ পরিচয় মুছে ফেলে,
অথচ একজন কৃষক কখনও কর্মকে ধোঁকা দেয় না;
কৃষক জানে-
কর্মে কৃষক বাঁচে, মানুষ বাঁচে,
কর্মের বিনিময়ে ফসল বাঁচে;
আর ফসলে কমে ক্ষুধার রঙ, পাল্টে যায় অভাবের আইন ।