অনেক দিন পর প্রেমিকার নামে চিঠি পৌঁছলো;
অথচ প্রেমিক জানেনা প্রেমিকা এখন দায়িত্ববান স্ত্রী,
সদ্য মাতৃসাধ গ্রহণ করা এক পূণ্যবতী নারী!
সন্ধ্যার দরজা খোলার অপেক্ষা করে বিকেল পাঁচটা থেকে,
এক কাপ চায়ের পেয়ালায় দুটো ঠোঁট পাশাপাশি
বসে!
অথচ-
প্রেমিকা একদিনও যত্নশীল হতে পারেনি প্রেমিকের;
সংসারের জন্য বনবাসে পাঠাতে পারেনি নিজের ভয়কে,
রান্না ঘরে ঢুকে শিখতে পারেনি কোন তরকারীর কত তেল-মরিচ লাগে অলসতার খাতিরে!
অথচ প্রেমিক জানতেই পারেনি প্রেমিকার সংসারী হওয়ার খবর,
প্রেমিকার শাড়ির আঁচলে অবলীলায় ঠাঁই পেয়েছে ঘরের প্রধান চাবি!
অথচ প্রেমিকা শাড়ি পরতে পারেনা বলে শুনেছিলে প্রেমিকের মৃদু উপহাস!
জেলখানা থেকে চিঠি-
প্রেমিকার হাতে আশ্রয় পেলো দুই বছর সতের দিন পর।
তৃণলতা,
একটু ঘুমাতে চেয়েছিলাম যত্নে ভরা তোমার কোলে,
হাটঁতে চেয়েছিলাম সবে 'নব দম্পতি' গৌধূলির বিকেলে!
শেষ বার যখন অবহেলার চাদরে আমাকে ছুড়ে মারলে,
ক্লান্ত পথিকের ন্যায় বিশ্রাম নেয়ার আমার কোনো আশ্রয়ও ছিলো না!
কখনও তোমার হাতের তালুর অংশটুকু ছুঁয়েও আমি সুখ অনুভব করিনি,
কিংবা চোখের জমিনে চুল এসে ভিড় জমালেও প্রতিবাদ করতে যাইনি!
অথচ খুব মনোযোগ দিয়ে আমার নামে কুৎসা রটিয়ে,
আমাকে আবদ্ধ করলে এক শিকল পরা মানবতায়,
প্রিয় মানুষগুলোর কাছে আমাকে বানালে নগ্ন দৃষ্টির মানুষ!