অসুখ হলে মা ঔষধ খেতে চান না;
শাড়ির বয়স বৃদ্ধ হলেও আরেকটা শব্দে চোখ বুলান না,
মায়েরা এমন-ই হয়;
মায়েরা সন্তানের ভবিষ্যত সুদৃঢ় করতে;
নিজেদের সুখগুলোকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে রাখেন,
মায়ের এক জোড়া জুতোয় কতগুলো ঋতুর মৃত্যু হয়;
একটা ব্লাউজ বারংবার জীবিত হয় সুই-সুতার আপ্যায়নে ।
ঘুমোতে যাওয়ার আগেও-
মায়েরা হাত তুলে সন্তানের সুস্থ থাকার দোয়া করেন;
মায়ের অশ্রুতে কখনও অভিযোগ থাকেনা; থাকে দোয়া,
মূলত মায়েরা স্বার্থপর !
নিজের সুখকে বিক্রি করে মায়েরা সন্তানের ভবিষ্যত কিনেন ।
সন্তানের বিরুদ্ধে মায়ের কোনো অভিযোগ থাকে না, থাকে চিন্তা ।
মায়ের অসুখের ঔষধ হলো; সন্তানের সুখ ।
মায়েরাও অশ্রু ফেলতে জানে; তবে আড়ালে,
মায়েরাও চিন্তামুক্ত থাকে; ঘুমালে ।
মূলত মা একটি স্বর্গের নাম ।
মায়েদের পাঠশালায় অভিযোগ কক্ষ থাকে না,
মায়েরা ক্লান্তকে কপালের ভাজে লিখে রাখে না;
সন্তান লালনে মায়েদের যোগ্যতা সর্বোচ্চ,
মায়েদের শাসনে কোনো ধারা বিতর্কে নামে না,
অবহেলার বিপরীতে মায়েরা কোনো শব্দ উচ্চারণ করে না;
মায়েদের ডায়েরীতে শুধু একটা পৃষ্ঠা থাকে;
যেখানে প্রতিটি সন্তানের গুরুত্ব একই রকম লেখা থাকে,
মূলত মায়ের প্রকৃত মানুষ ।