প্রাণের 'তুই',


বাইরে ঝরছে অবিরাম বারিধারা -
টাপুর টুপুর, টাপুর টুপুর।
ঝরছে প্রেমবারি বলিহারি;
প্লাবিত হৃদয়ের উদ্যানবাটি, প্রেমাবেগে থৈ থৈ মনের বৃন্দাবন।
দুকূল ছাপানো প্রেম যমুনার জলে আমি জুড়াই তৃষিত পরাণ।
আজ তোর জন্মদিন-
কি দেবো উপহার?
মেঘলা আকাশের সিন্দুক খুলে,এক মুঠো চঞ্চল মেঘ দিলাম তোকে,
বৃষ্টি হয়ে ভেজাবে সে।
রামধনুর রংপুরী থেকে এক বসন্ত সোহাগী রং দিলাম তোকে।
সে তোকে স্পর্শহীন চুম্বনে দেবে এক শ্রাবণ ভালোবাসা।
আমি এক আশিক শাহজাহান‌;
হৃদয়ের আগ্ৰায় তাজমহল গড়েছি শুধুই তোর জন্য।


তুই আমার প্রথম প্রেম, স্বপ্ন, আমার পরম অবলম্বন, একমাত্র আশা, ভবিষ্যৎ।
কেটে গেছে নয় নয় করে দশটি বছর;
আমার প্রতিটি নিশ্বাসে তুই, বিশ্বাসে তুই,সোহাগে তুই, বিরহে তুই, স্বপনে তুই, জাগরণে শুধু তুই।
তুই তুই করেই দিবারাত্রি আমি প্রেমের বোধিবৃক্ষে ধ্যানমগ্ন।
এক তুইয়ের যাদুমন্ত্রেই আমার সিদ্ধিলাভ।
রিক্ত পরাণ-শাখায় তুই ফুটিয়েছিস ফুল, ফল অজান্তেই।
তোর ভালোবাসার ছায়ায় আমার শান্তি, ঘুচায় ক্লান্তি;
তোর প্রীতির আঁচলে আমার প্রণয়-প্রদীপ নিশ্চিন্তে দেদীপ্যমান।
কান্না হাসির আলোছায়ায় আমি আঁকি তোর ছবি নিভৃতে, নিরালায় বসে।
মনের নকশী কাঁথার মাঠে, আমি ফোটাই প্রেমের ফুল শুধুই তোরই জন্য, তুই আসবি বলে।
একটা সত্যি কথা বলি?
তোর কাছে বকা খেতে ভালোই লাগে।
তোকে রাগাতে ভালোই লাগে ;
রাগলে তুই যেন সাক্ষাৎ মা চণ্ডী, সাধে কি বলি রক্ষেকালী!
হ্যাঁ তুই আমার অবর্থ্য রক্ষা-কবচ, আমার সকল বিঘ্নবিনাশিনী বিপত্তারিণী।
কিন্তু বেশিক্ষণ তুই রেগে থাকলে, ভালো লাগে না মোটেও।
খারাপ ভাবলে খারাপ লাগে।
আমি কিন্তু শান্ত-শিষ্ট 'তুই'নিষ্ঠ ভদ্রলোক।
ভালোবাসার রাখিতে আমার চিরবন্ধন, আমার চিরমুক্তি।
লক্ষ্মীর সিংহাসনে আমি প্রতিনিয়ত দেখি আমার জীবন্ত লক্ষ্মীর অবয়ব।
না! আর কাব্য করবো না।
আজ তোর জন্মদিন-
কি দেবো উপহার?
হৃদয়-বৃন্দাবনের ভালোবাসার ফুলে সাজালাম এই কাব্যমাল্য, শুধু তোর জন্য।
নিবি তো?
শুভেচ্ছা নিস,ভালো থাকিস।


ইতি-
তোর চিরজীবনের স্বপন-সাথী


ওই কে যাও,কে যাও দূরে? তুমি মেঘবালিকা?
আমার 'তুই'কে এটা দিও,
আজ ওর জন্মদিন-
তেমন কিছু নয়,
ওর জন্য ছোট্ট উপহার,আমার হৃদয়খনির এই প্রেমপত্রখানি ....