হাটি-হাটি পা-পা,
এক-পা, দু-পা,
ছোট-বড় ধাপে, বড়দের চাপে,
শিখে গেলাম হাটা, ধরনীর ম্যাপে।
শৈশবের দৌড়-ঝাঁপ,কথার বুলি শিক্ষা,
দাঁতগুলো উঠে যায়,সাঁতারেও পাক্কা।
হাতেখড়ির বইগুলো মায়ের হাতে শিখনী,
দুষ্টুমির ছলে, কতো খেতাম পিটুনি।
সময়ের ব্যবধানে দুরন্তের কিশোর,
কত-শত চিন্তা, স্বপ্নেরা ধূসর।
পড়া আর খেলা দিয়ে বয়ে যেত বেলা,
বন্ধু,বান্ধব মিলে বসে যেত মেলা।
যৈবন এসে গেলো, হাসি-খেলা শেষ,
পরিবার সংশয়, বয়সও হয়েছে বেশ।
দায়িত্ব,কর্তব্য আর লক্ষ্য স্থিরকরণ,
বিয়ে-শাদী,সন্তানাদী,আর জীবনের শেষ সমিকরণ।
জীবনের গন্ডিতে হয়ে যাবো বৃদ্ধ,
একঘেয়ে হয়ে যাবো পরিবার সুদ্ধ।
মৃত্যুর অপেক্ষায় কেটে যাবে বেলা,
হয়তো শৈশবের অতৃপ্ত স্মৃতিটাই করে যাবে খেলা।।।