এতোদিন কেমন ছিলাম?
কল্পনাশ্রয়ী কিছু আবেগ নিয়ে ছিলাম বেশ-
হয়তো আর খুব বেশিদিন নাই,
বুকের বাম-পাশটা আজকাল টের পাই না।
শুনেছি সেখানে নাকি হৃদয়ের বসবাস!
তবে কি? না না! এ কি করে হয়?
যে বুকে তুমি মাথা রেখেছিলে নন্দিনী,
সে বুক শূন্য কি করে হয়?


তোমার চুলচিরে যে বাতাস ছুঁয়ে গিয়েছিলো,
সে বাতাস এখন নিকোটিনে বিষাক্ত।
ভোরের শুভ্র যে আলো মায়া ছড়িয়েছিলো,
রক্তিম আভা নিয়ে সে এখন অস্তপ্রায়।
দুপুরের রোদে ছায়াময়ী আঁচল,
স্নিগ্ধ, শাশ্বতী রুপ ভুলে এখন বিষাদগ্রস্ত।
সন্ধ্যায় কাঁধে মাথা রেখে যে শুকতারা ফুটেছিলো,
করতলে নিশ্বাস ফেলে এখন মরণের সন্ধিক্ষণে।


এইতো আর ক'টা দিন!
এরপরই যবনিকাপতন।
বাংলা ব্যাকরণের যতিচিহ্নের ব্যবহারে নিয়ম মাফিক মাসহারা পড়ুক;
প্রতিটি অক্ষর, বাক্যাংশ, বাক্য, কিংবা রচনায় পুলিশি টহল পড়ুক।
শেষ নিশ্বাস থেমে গেলে পোষ্টমর্টেম রিপোর্টে আসুক,
এ বুকে নন্দিনী মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছিলো, তাই এ বুকে জেগে আছে আজন্ম এক গুলবাগিচা।