সিঁথি ছেড়ে যখন চুল উলটো করে আঁচড়ানো শিখেছিলাম, তখন তোমার প্রেমে পড়েছিলাম নন্দিনী। আগমনী বর্ষায় সদ্যস্নাত গন্ধরাজ আর পেয়ারার শুভ্র বাগানে, খোলা চুল আর নীল পারের শাড়িতে বিধাতার অনন্য সৃষ্টি বিমোহিত করেছিলো; সদ্য ফোটা কুড়ির মতো বুকে ফুটে ছিলো যেনো শাশ্বত জবাফুল- এ ফুল যেনো শুধু ফুটেছে দেবী পূজার জন্যই। কিছুটা ভক্তি নিয়ে বুকে সাহস সঞ্চার করে চোখ তুলে তাকিয়ে পর মুহূর্তেই অপরাধবোধ নিয়ে চোখ নামিয়ে এনেছিলাম। তোমার চিবুকে যেনো ছড়িয়ে ছিলো গোলাপী আভা; এক চিলতে রোদ খেলা করছিলো তোমার সমস্ত চোখে, গালে, ঠোঁটে। খুব ইচ্ছে করেছিলো, তোমার কানে গুঁজে দেই নয়নতারা ফুল। গোপন ইচ্ছা দমিয়ে রেখে ধীর পায়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কেমন আছো?
তুমি লাজুক হাসি দিয়ে চোখ দু'টি নামিয়ে নিয়ে বলেছিলে, ভালো আছি। বিপরীতে কিচ্ছু জিজ্ঞেস না করেই ফিরতি পথে ব্যস্ত পায়ে চলে গেলে। ঠায় দাঁড়িয়ে ছিলাম, তাকিয়ে ছিলাম তোমার যাবার পথে। একবার যদি ফিরে তাকাও, একটিবার যদি স্বর্গসুখের দেখা পাই! তুমি যেনো একটু বেশিই নারী।