এক বসন্ত পার হয়ে গেছে-
এই আলোছায়ায় আমার চোখ বিভ্রান্তির কবলে আটকা পড়ছে।
অভিমান শব্দটি অযাচিতভাবে, অন্তরে অন্তর্গাত পূর্ণ শূন্যতায় ডোবাচ্ছে!  
প্রেমিক ছিলেম, ছাড় দেয়া বিষণ্ণ এক প্রেমিক!
আঙ্গুলের ভাজে তার হৃদয় মোড়ানো অভিশপ্ত এক প্রণয়!
বাতাসে হু-হু করে আসা স্মৃতি ভরা চিঠিগুলোর কালো দাগ শুকিয়েছে!
পায়চারী করা ঝুল বারান্দায় একলা ফুলের সুবাসে খুঁজেছি অবিকল তার সুবাস!
ঘাসের গালিচায় এলিয়ে দিয়েছিলাম সুখ-দুঃখের সবুজ আলিঙ্গন!
নৈঃশব্দে নিবিড় পরিচর্যায় ভাবনাতে বুনেছি ভালোবাসার শুদ্ধ বীজ!


শেষ প্রতিপাদ্যতে- অশান্ত নদীতে মাতাল হাওয়া তুলে- ঝড়ের কবলে ফেলে দিলে নৌকোটাকে!  
বালিশের শুকনো তুলোতে অনলে পোড়া বিদগ্ধ নোনাজলের বসত গড়ছি প্রত্যহ!
আর হেয়ালির খেয়াল জুড়ে আমাতে আমিহীন দেখেছি ভাঙ্গা কাঁচের আয়নায়-
একটু একটু করে সূর্যের আলোয় বেঁচে দিচ্ছি আয়ু!
হেঁটে আসা পথে তোমার পায়ের চিহ্ন কি তবে দিকভ্রান্ত পথিক বানালো আমায়?
দেখে যেও,তুমিহীন নিস্তব্ধ এ হৃদয়উপকূলে বুক ভাঙ্গা ঢেউয়ের আছড়ে পড়া ক্রন্দন!
হৃৎপ্রকোষ্ঠের অবিরাম স্পন্দনে থাকা-গভীর বাসনায় তোমায় হারানোর অব্যাক্ত যন্ত্রণা!