মুক্ত দীর্ঘ কৃত্তিকা কবিতা
শব্দ সংখ্যা ৪+৪/৪+৪/৫
=================


আমি বীর
ইব্রাহিম হোসেন


জেনে রেখো আমি বীর,করি নাকো নত শির
এক দিন শেষ হবে দেহ ;
সৎ পথে যাবো চলি, মুখে সদা রব বলি
বাধা দিবে আছে মোরে কেহ?


জান গেলে চলে যাক, বলে যাবো হক বাক
প্রভু নবী রবে এই দিলে;
রব যদি থাকে পাশে, ভয় নাহি কাছে আসে
মিছা দূর করে দিবো কিলে।


বাহু ডোরে রেখে বল, চল সাথী তোরা চল
ডাক এলো ওই রণ মাঠে ;
দৃঢ় করে রাখ ভিত, নাই জ্ঞান নাই হিত
পাড়ি দিতে হবে নদী ঘাটে।


ন্যায় নীতি হাতে ধরে, সুখে যাবো দেশ গড়ে
দেখা যাবে হাসি মাখা মুখ;
জনে জনে প্রতি জনে, রবে সব খুশি মনে
দূর হবে আছে যত দুখ।


দিবা কিবা নিশি রাতে, রাখো হাত সবে হাতে
এক সাথে চলো সব রণে ;
ভয় আর নাহি রবে, জয় ধরা দিবে তবে
ভালো বাসা রেখো প্রতি জনে।
================


নববধূর আগমন
ইব্রাহিম হোসেন
মালঝাঁপ পয়ার (৮+৬)


পরে শাড়ী বই নারী এলো বাড়ি মোর,
খুশি কত অবিরত কাটে যত ঘোর।
যত দেখি মেলে আঁখি মনে রাখি ধরে,
চিরদিন অমলিন সুখ বীণ ঘরে।


কত আশা ভালোবাসা বাঁধি বাসা ঘর!
প্রিয়তমা রাখে জমা নয় রমা পর।
স্বপ্ন আঁকে প্রেম শাখে হৃদ বাঁকে তাই,
আমি ছাড়া সর্বহারা প্রেম ধারা নাই।


বধূ মোর খুলে দোর ঘুম ঘোর শয্যা,
নাহি দুখে সদা সুখে হাসি মুখে লজ্জা।
দোয়া করি প্রভু স্মরি সুখ তরী ভাসে,
কাছে আসে ভালোবাসে এসে পাশে হাসে।


এই পণ করে মন প্রিয়জন তরে,
উঠে রবি লিখি সবি আঁকি ছবি ঘরে।
সেই যেনো থাকে হেনো বলি মেনো সব,
সত্য বলে সত্যে চলে মন গলে রব।


বধূ প্রিয় প্রেম নিও প্রেমে দিও ভরে,
চলো আগে ফুল'বাগে অনুরাগে ওরে।
বেনারসি পরো কষি তুমি শশী হৃদে,
কাছে আসি পাশাপাশি স্বপ্ন রাশি নিদে।
====================


ক্ষমা  
ইব্রাহিম হোসেন  
স্বরবৃত্ত ছন্দ:(4+4+4+3)


প্রভুর কাছে দু'হাত তুলে
কাঁদো চোখের জলেতে,
কেউ করো না কারো ক্ষতি
নিজের শক্তি বলেতে।


খোদার দয়া শেষ হবে না
তিনি অসীম ভুবনে,
ক্ষমার মতো চাইলে ক্ষমা
পাবে ক্ষমা জীবনে।


পাপ করেছো অনেক ভবে
গাঁথা সারি সারিতে,
কেঁদে কেঁদে দুহাত তুলো
অশ্রু চোখের বারিতে।


সৃষ্টিকারী বোঝেন সদা
সব মানুষের ভাষাটা,
তাঁর কাছেতে যাও না বলে
তোমার মনের আশাটা।


সৃষ্টিকারী অতি আপন
জগৎ স্বামীর চরণে,
লুটায় পড়ো তাঁর আদেশে
শুধু যে তাঁর স্মরণে।
==========