আত্মসমালোচনা
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন


কখনো নিজেকে বড় ভাবি না কবি, আমি তুচ্ছ ;
গগনেতে দেখি চেয়ে পুবে উঠে রবি, সবই স্বচ্ছ।
কেন শুধু ভাবছো আমাকে নিয়ে ?  করি বড়াই ;
আমি তো তালগাছের বাবুই পাখি, বাস তেঁতুল পাতায়।


আমি কারও প্রতি  রাগ করে থাকতে পারি না।
কেউ আমার প্রতি অসন্তুষ্ট থাক, এও আমি চাই না।
আমি কাউকে কষ্টদায়ক কথা বলতে ভালোবাসি না।
কারও পীড়াদায়ক বচন শুনে চিত্তে পাই বেদনা।


একা একা নিভৃতে কেঁদে কেঁদে ঘুরি, শূন্য দিগন্ত ;
আমি এক ক্ষুদ্র প্রাণী, কোনো রকম ভবে আছি জ্যান্ত।
বুক ভেসে যায় চোখের নোনা জলে, সাগরের মত ;
আঘাতের বেড়াজালে এ হৃদয় আমার, ক্ষতবিক্ষত।


ভেবে নিই হয়তো বা আমার কোনো দোষ ছিলো,
ছিলো কসুর, ভুল, তাই এ মন আঘাত পেলো।
আমি সবার সাথে মিলেমিশে থাকিবার চাই।
তোমরা আমার বন্ধু, আমার বোন, আমার ভাই।
তবুও কেন বারে বারে পদে পদে আঘাত পাই ?


করি না কখনো কারো শত্রুতা, সদা চাই মিলনে আপোশ,
নেই কোনো ক্ষতি গুরুজনের হলেও, পদদ্বয়ের পাপোশ।
স্নেহ মমের ছোট ছোট ভাই,বোন আর প্রতিবেশী,
ভুল নিমিত্তে দৃষ্টিপাত করি, নয়ন জলে ভাসি।


হে আমার প্রিয় বন্ধু বান্ধব আত্মীয় স্বজন !
আমার যদি কোনো দোষ থাকে, তবে আমি পাপী, 
থাকে যদি কোনো ভুল , সত্যি বড় অপরাধী।
আমি তোমাদের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী, আমাকে দাও করে ক্ষমা,
হে আল্লাহ!  তুমিও মাফ করো, করো মার্জনা।