ভালোবাসার রঙ Valobasar rong

উপন্যাস: ভালোবাসার রঙ এর কিছু কথাঃ৷

বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
আস্সলামু আলাইকুম। আলহামদুলিল্লাহ।
সমস্ত প্রশংসা মহান আল্লাহ তায়া’লার জন্য, যিনি আমাকে উপন্যাস 'ইতি কথা' ও "অভিলাষসী মন" এর পর তৃতীয় উপন্যাস "ভালোবাসার রঙ" সপ্তম একক গ্রন্থ প্রকাশ করার তৌফিক দান করেছেন।

"ভালোবাসার রঙ" উপন্যাসটি  কোরআন হাদিসের মারফতে সম্পূর্ণ সামাজিক আঙ্গিকে, মিষ্টি মিষ্টি প্রেমের কিছু সুর ও ছন্দের ঝঙ্কারের সমাহারে, পারিবারিক, সামাজিক শিক্ষণীয় বিষয় নিয়ে অত্যন্ত সুন্দর ও সুনিপুণভাবে সাজানো হয়েছে। আশা করি উপন্যাসটি সকলের হৃদয়ে নাড়া দেবেই।  সরল সঠিক পথ নির্দেশনার ভূমিকা পালন করবে এবং ন্যায়-নীতি ও সদাচারণের দিকে ধাবিত করতে সহায়তা করবে ইনশাআল্লাহ। প্রত্যেকেরই এমন একটি বই পড়ে অনুধাবন করা উচিৎ। বই হলো জ্ঞানের ভাণ্ডার। মানুষ বেইমানি করতে কিন্তু বই ও বইয়ের সঠিক অনুধাবনের জ্ঞান কখনো বেইমানি করতে পারে না।  সকলের মাঝে এমন একটি সুন্দর উপন্যাস উপহার দিতে পেরে সত্যি আমি অত্যন্ত আনন্দিত, আপ্লুত ও অভিভূত!

পরিশেষে একটি কথা না বললেই নয়।
প্রত্যেক লেখক-লেখিকা-ই চায় তাঁর নির্ভুল লেখা দিয়ে সুন্দর রুচিসম্মত তার সেরা লেখনীর সেরা লেখাটাই  উপহার দিতে। আমিও কায়িক পরিশ্রমের মাধ্যমে অত্যন্ত সুন্দর, সুনিপুণ, সহজ, সাবলীল সৌন্দর্যমণ্ডিত শব্দশৈলীর দ্বারা নির্ভুলভাবে, নির্ভুল একটি উপন্যাস "ভালোবাসার রঙ" লেখার যথাসাধ্য চেষ্টা করেছি মাত্র। কিন্তু মানুষ মাত্রই ভুল হয়, ভুল হওয়াটা স্বাভাবিক, অস্বাভাবিক এর কিছুই নয়, কেউ ভুলের ঊর্ধ্বে নয়। আর আমি তো অতি সামান্য মানুষ একজন ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম ব্যক্তি। উপন্যাসটিতে কোনো প্রকার ভুলভ্রান্তি হলে আমি সকলের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী।

আর হ্যাঁ, উপন্যাসটি সম্পূর্ণ কাল্পনিকভাবে নির্মিত।
তবে কোরআন, হাদিস ও গুণীজনের উক্তিগুলো পবিত্র কোরআন, হাদিস ও গুণীজন থেকে সংকলিত।  এর সংলাপ, কাহিনি ও বর্ণনা  যদি কারো জীবনের সাথে হুবহু বা আংশিক মিলে গিয়ে কেউ মনে কষ্ট পেয়ে থাকেন, তবে আমাকে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
এ প্রত্যাশায় সকলের প্রতি রইলো আমার নিরন্তর ভালোবাসা, প্রীতি শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।

কবি ও লেখক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন,
কাদিপুর,  ভাটোপাড়া, গোদাগাড়ী, রাজশাহী
প্রতিষ্ঠাতা ও পরিচালক:
অনলাই সংগঠন 'রাজশাহী সাহিত্য সংস্কৃতি পরিষদ'।

ভূমিকাঃ ভালোবাসা কী, এর কেমন বরণ?
পৃথিবীর সৃষ্টিই হয়েছে ভালোবাসা দিয়ে। আসমান-জমিন, পাহাড়-পর্বত, সাগর-নদী,  পশুপাখি, জ্বিন ইনসান, মানবজাতি সবার ক্ষেত্রেই চাই ভালোবাসা। ভালোবাসা ছাড়া বেঁচে থাকা যায় না, হয় না জীবজন্তু, পশুপাখি, মানবজাতির সুষ্ঠ  বংশ বিস্তার। মহান আল্লাহ তা'য়ালা নবীর (সাঃ)  প্রেমে মগ্ন হয়ে সৃষ্টি করেছেন সারা জাহান তথা  আশরাফুল মাখলুকাত।

মহানবী হযরত মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও আল্লাহর প্রেমে জীবন-যৌবন, ধন-সম্পদ সবই বিলীন করে দিয়েছেন তেষট্টি বছরের আয়ুতে। এর আগেও যত নবী-রাসুল এ পৃথিবীতে আগমন করেছিলেন, তাঁরাও সবাই এক আল্লাহর প্রেমে, তাঁর ভালোবাসায় নিজেকে বিলীন করে দিয়েছেন। সেই সূত্র ধরেই চলে আসছে আমাদের একে অপরের মাঝে স্বর্গীয় প্রেম ভালোবাসার অনুভূতি। সেখান থেকেই আমরা শিখেছে একজন মানুষ আরেক জন মানুষকে কীভাবে  ভালোবাসতে হয়?  স্নেহ-মমতা, শ্রদ্ধা বিনয় এগুলো সবই ভালোবাসার আওতায় পড়ে।

ভালোবাসা না থাকলে স্নেহ-মমতা, শ্রদ্ধা, সম্মান কিছুরই জাগরণ হয় না হৃদয়ের মণিকোঠে। হয় না স্বামী স্ত্রীর মিল মহব্বত। ভালোবাসায় হয় সংসার সুখের। আবার এর ঘাটতি হলেই সে সুখের সংসারটি দুখের আনলে পরিণত হয়। অনবরত দাও দাও করে জ্বলতে থাকে অগ্নির লেলিহান। মানুষের জীবন হয়ে উঠে দুর্বিষহ। শান্তির ঘরে জ্বলে অশান্তির আগুন। আরামের ঘুম হয় হারাম।
আচ্ছা বলুন তো, এ ভালোবাসার কোনো আকার আছে?  ভালোবাসা দেখা যায়?  ভালোবাসার রঙ কী?  রংধনুর রঙ বেগুনি, নীল, আসমানী, সবুজ, হলুদ, কমলা অথবা লাল এর মতো ?
এর সঠিক উত্তর জানতে হলে অবশ্যই  পড়তে হবে সম্পূর্ণ ইসলামিক ও সামাজিক আঙ্গিকে সাজানো মিষ্টি মিষ্টি প্রেম, সমাজ সংস্করণ ও সমাজসচেতনামূলক প্রতিবাদী শিক্ষণীয় বিষয় নিয়ে রচিত উপন্যাস 'ভালোবাসার রঙ'।

উৎসর্গঃ
আমার প্রেম, আমার ভালোবাসা,
আমার স্বপ্ন, মনের গহীনে জমানো আশা,
আমার জীবনের যত সব না বলা কথা,
যাঁর ছোঁয়ায় দূরীভূত হয় হৃদয়ের ব্যথা,
আমার সাধানা, মহান রবের কাছে আরাধনা,
নুরমহল আমার সেই প্রাণের প্রিয় সহধর্মিণী ,
শুধু তাঁর নামেই উৎসর্গ এই গ্রন্থখানি।