চির বিদায়
ইব্রাহিম হোসেন
শোন,শোন,শোন বলি ওগো শোন প্রিয়তমা!
আমায় ডেকে আর পাবে না করে দিও ক্ষমা।
কত ভালোবাসি তোমায় কেউ তো জানে না,
তোমার দেওয়া ব্যাথা মনে সইতে পারে না ।
কত স্মৃতি মনের মাঝে সারি সারি গাঁথা !
ভুলতে গেলে মনে আমার লাগে আরও ব্যাথা।
নদীর কূলে তুমি আমি পাশা পাশি বসে,
এক নিমিশে হারিয়ে যেতাম প্রেম পীরিতের রসে।
সকাল সাঁঝে যেতে তুমি পদ্মা নদীর তীরে,
আনতে পানি কলস ভরে একলা ধীরে ধীরে।
ছুটে যেতাম তোমার কাছে একটু দেখার তরে,
মিষ্টি করে বলতে হেসে রয় না কি মন ঘরে?
বলতে তুমি দেখা হবে কলেজ যাওয়ার পথে,
একটু সময় করে যেও চড়ে প্রেমের রথে।
কলেজ প্রতিযোগীতায় পেলে পুরুষ্কার,
ছুটে গিয়ে বলতাম এটা তোমার উপহার।
বিকেল বেলা যেতে তুমি বাঁশ বাগানের তলে,
করতে দেখা,বলতে কথা খেলা ধুলার ছলে।
বলতাম আমি বাঁচবো নাগো শুধুই আমার তুমি ,
তুমি ছাড়া হৃদয় আমার ধূধূ মরু ভূমি।
রমজানের ঐ স্মৃতি গুলো আবার মনে পড়ে,
ইফতার শেষে নামাজ পড়ে যেতাম তোমার ঘরে।
খাবার খেয়ে হাত না মুছে যেতাম তোমার কাছে,
আবার দিতে খাবার তুমি ভাজা ইলিশ মাছে।
মুচকি হেসে বলতে তুমি নাই কি পেটে ক্ষুধা ?
বলতাম আমি চাই যে পেতে তোমার প্রেমের শুধা।
আরও কত স্মৃতি আছে নাই তো বলার ভাষা!
তুমি আমার জীবন মরণ বেঁচে থাকার আশা।
এখন তুমি চলে গেলে আমায় ছেড়ে দূরে,
তুমিহীনা কষ্ট আমায় খায় যে কুড়ে কুড়ে।
অন্যজনের সাথে গেলে করলে আমায় পর,
আর্তনাদে বুকটা ফাটে বুকের ভিতর ঝড়।
আমায় ছেড়ে নদীর পারে বাঁধলে সুখের বাসা,
এক নিমিশেই হারিয়ে গেল বেঁচে থাকার আশা।
হাতে আমার নামটি তোমার কেটে লিখে দিলাম,
রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে তোমায় পাঠাইলাম।
যাচ্ছি চলে তোমার সনে দেখা হবে না,
তোমার কথা মন কখনো আর তো কবে না।
দোষ দেব না তোমার কভু চিরসুখে থেকো,
পরকালে দেখা হবে আমায় মনে রেখো ।
বিদায় বিদায়, জানাই বিদায় ওগো প্রিয়তমা!
তোমায় ছেড়ে যাচ্ছি চলে করে দিও ক্ষমা।
======================
চির বিদায়
ইব্রাহিম হোসেন
শোন, শোন, শোন বলি
ওগো প্রিয়তমা !!
আমায় ডেকে আর কখনো
ফিরে পাবে না ।
কত ভালোবাসি তোমায়
কেউ তো জানে না,
তোমায় হারানোর ব্যাথা
সইতে পারি না ।
কত স্মৃতি মনের মাঝে
সারি সারি গাঁথা !
ভুলতে গেলে মনে আমার
লাগে আরও ব্যাথা।
নদীর কূলে তুমি আমি
পাশা পাশি বসে,
এক নিমিশে হারিয়ে যেতাম
প্রেম পীরিতের রসে।
সকাল সাঁঝে যেতে তুমি
পদ্মা নদীর তীরে,
আনতে পানি কলস ভরে
একলা ধীরে ধীরে।
ছুটে যেতাম তোমার কাছে
একটু দেখার তরে,
মিষ্টি করে বলতে হেসে
রয় না কি মন ঘরে?
বলতে তুমি দেখা হবে
কলেজ যাওয়ার পথে,
একটু সময় করে তুমি
যেও আমার সাথে।
কলেজ প্রতিযোগীতায়
পেলে পুরুষ্কার,
ছুটে গিয়ে বলতাম এটা
তোমার উপহার।
বিকেলে আবার কখনো যেতে
বাঁশ বাগানের তলে,
করতে দেখা,বলতে কথা
খেলা ধুলার ছলে।
বলতাম আমি বাঁচবো না গো
তুমি আমার শুধু,
বলতে তুমি মরতে দেবে না
এই জীবনে কভু।
রমজানের ঐ স্মৃতি গুলো
আবার মনে পড়ে,
ইফতার শেষে নামাজ পড়ে
যেতাম তোমার ঘরে।
খাবার খেয়ে হাত না মুছে
যেতাম তোমার কাছে,
ভেজা হাতটি নিতাম তোমার
ওড়না টেনে মুছে।
মুচকি হেসে বলতে তুমি
নাই কি ঘরে টাওয়েল?
আর কখনো করলে এমন
করবো তোমায় ঘায়েল।
আরও কত স্মৃতি আছে
নাই তো বলার ভাষা!
তুমি আমার জীবন মরণ
বেঁচে থাকার আশা।
এখন তুমি চলে গেলে
আমায় ছেড়ে দূরে,
তুমিহীনা কষ্ট আমায়
খায় যে কুড়ে কুড়ে।
অন্যজনের সাথে গেলে
করলে আমায় পর,
আর্তনাদে বুকটা ফাটে
বুকের ভিতর ঝড়।
আমায় ছেড়ে নদীর পারে
বাঁধলে সুখের বাসা,
এক নিমিশেই হারিয়ে গেল
বেঁচে থাকার আশা।
হাতটা কেটে লিখে দিলাম
হাতে তোমার নাম,
রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে
তোমায় পাঠালাম,
যাচ্ছি চলে আর কখনো
দেখা হবে না,
ভালোবাসার অপরাধে
করে দিও ক্ষমা।
চির সুখে থাকো তুমি
দোষ দেব না তোমার,
পরকালে দেখা হবে
তোমার সাথে আমার।
বিদায় বিদায়, জানাই বিদায়
ওগো প্রিয়তমা!
তোমায় ছেড়ে যেতে আমার
ইচ্ছে করে না।