যাত্রা দেখার সাধ
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন
রচনাঃ ০৬-০১-২০২৩ ইং


বছর দশেক আগের কথা
শালার শ্বশুর বাড়ি,
দেখতে গেলাম শালারই বৌ
চুলায় ভাতের হাঁড়ি।


দুপুর বেলা খাবার খেলাম
হলো বিকাল বেলা,
শুনতে পেলাম সেথায় হবে
যাত্রাদলের মেলা।


বললাম আমি শালারে ভাই
চলো নিয়ে সেথা,
কোনদিনও দেখেনি যা
যাত্রারই গান যেথা।


বললো আমায় যাবো না ভাই
চান যাদি যান একা,
ভাল্লাগে না  ওসব আমার
আগে থেকেই দেখা।


ধীরে ধীরে গেলাম একা
সন্ধা লগন পরে,
হালকা বায়ু বইছে দেখি
গাছের পাতা ঝরে।


প্রতি টিকিট তিরিশ টাকা
ঢুকছে দলে দলে,
তাদের দেখে মনটা আমার
একটুখানি গলে।


তিরিশ টাকায় টিকিট কিনে
ভেতর খানে বসি,
চারিদিকে আলোকসজ্জা
নামলো যেন শশী।


শশী তো নয় এক রূপসী
মানব জাতির মেয়ে,
এমন পোশাক তার গায়ে হায়
না দেখা যায় চেয়ে।


নাচানাচি অশ্লীলতা
বুক কাঁপে মোর ডরে,
কত দর্শক টাকা দিয়ে
জাপটে তারে ধরে।


ভাবনা আমার রাত্রি সারা
যাত্রাতে হয় নাটক,
এ যে কেমন চারটি গানেই
শয়তানে হয় আটক।


শেষের পরে আবার শুরু
নতুন করে টিকিট,
মনটা ভাবে এবার বুঝি
সারারাতের ভিজিট।


আবার আমি তিরিশ টাকায়
টিকিট কেটে গেলাম,
হায় হায় হায় এবারও তো
ঠিক তেমনি পেলাম।


বিস্মিত হই জিগায় আমি
সারারাতের যাত্রা,
দেখবো বলে এলাম হেথায়
দেখি তো নাই মাত্রা।


বললো সে জন দশ ঘটিকায়
রাত্রে আবার আসেন,
সারারাতের যাত্রা পালায়
গান সিনামায় ভাসেন।


জবাবে তার তওবা তওবা
যাত্রাদলের পালা,
বুক কাঁপে হায় দুরুদুুরু
শয়তানে দেয় মালা।


যাত্রা দেখার মিটলো যে সাধ
ফিরে গেলাম বাড়ি,
নোংরা এতো বলোনি ক্যান্
শালারে দেই ঝাড়ি।