মিছা  জীবন
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন


নাই বাড়ি ঘর অবনী 'পর দুনিয়াদারী সুখের,
কষ্ট ক্লেশে ঘাম ঝরে গায় গরিবি হাল দুখের।
বাবা যে হায় রিক্সা চালক অথবা সে কৃষাণ,
লক্ষ্য নায়ে তীর নাহি পায় ভুল হয়ে যায় নিশান।


পায় না কারো ভালোবাসা জন্ম যেনো বৃথা,
বৃথাতে যায় মনের আশা বক্ষে ভরা ব্যথা।
বুঝে না কেউ কষ্টেরই ঢেউ বয় যে বুকের মাঝে,
অশ্রু ঝরে গতর ভিজে সারাদিন রয় কাজে।


কাজের শেষে বাবা ফিরে সন্ধ্যা লগন নীড়ে,
গামছা পানি দেয় স্বামীকে খোকার মা'যে  ধীরে।
খড়কুটোতে রান্না করা ভাতের মোটা চাউল,
তরকারি নাই আলু ভর্তা সস্তা মটর ডাউল।


তবুও সুখের স্বপ্ন আঁকে মা দুখিনী মনে,
ছেলে যে তার বড়ো হবে লেখাপড়ার সনে।
অভাব জ্বালা দূর হবে সব ফুটবে মুখে হাসি,
দুখীর ঘরে বাজবে সেদিন মন মোহনার বাঁশি।


হয় না পূরণ অর্থাভাবে কপালে সুখ নাই কো
ভর্তি ফীতে ব্যর্থ সে যে মিছা জীবন তাই তো।
লক্ষ লক্ষ টাকার খেলা লেখাপড়ায় জানি,
তাই খোকা বয় ঘাড়ের উপর দুঃখ নামের ঘানি।



(রচনাঃ ২৫-০৭-২০২২, সোমবার ১২ঃ০০ এ এম)