জীবন তরী
ইব্রাহিম হোসেন

ঝর্ণা ঝরে পদ্মা ভরে
যায় সাগরে ছুটে,
অথৈ তলে গভীর জলে
কূল কিনারা টুটে।

স্রোতের ধারা পাগল পারা
কি অপরূপ লাগে!
খোদার ডাকে নদীর বাঁকে
বালুর চরে জাগে।

উজান গাঙে পাড়ের ভাঙে
সর্বনাশে থাকে,
জীবন তরী ডুবলে মরি
ধরবো বলো কাকে?


এমনি করে জীবন ধরে
প্রাণের বায়ু চলে,
কখন জানি প্রভুর বাণী
জীবন যাবে গলে।

হোক না ধনী স্বর্ণ খনি
চিরদিনের নহে,
দুঃখ সুখে এই না বুকে
কতোই জ্বালা সহে!
===========


অরাজকতা
ইব্রাহিম হোসেন

চুরি করে চোর ভাই সাধু খায় গোল,
ঢ্যারা কাট চুলে দিয়ে শিরে ঢালে ঘোল।
সততার বলিদানে খায় সুদ ঘুষ,
মানবতা কোথা গেলো,কোথা গেলো হুঁশ?

ন্যায় নীতি নাই আজ গরিবেরা কাঁদে,
ধর্মভীরু অর্থহীনে পড়ে শুধু ফাঁদে।
কাপুরষ দল ওরা করে নিপীড়ন,
সাদা গায়ে কাদা লাগে চন্দ্রতে গ্রহণ।

অর্থলোভী আত্মসাতে মত্ত দিন রাত,
কারণে ও অকারণে করে বেত্রাঘাত।
জোর করে জমিজমা ভিটা বাড়ি নেয়,
আঘাতের তির মেরে বুকে ব্যথা দেয়।

দু'টি চোখে অশ্রুজলে হয় নিরুপায়
মাথা গুঁজা ঠাঁই নাই দাঁড়ায় সে ঠায়।
বুক চেপে ধরে শুধু আর্তনাদে হায়!
প্রভু দ্বারে মিনতিতে থাকে অসহায়।

এই যদি হয় এই পৃথিবীর লীলা,
অন্য বুকে হাল বেয়ে ধনী গড়ে ভিলা।
সাধারণ জনগণ কোথা পাবে ঠাঁই,
নীতিবান বিচারক তাহলে কি নাই?
==================