খোকা খুকির খেলা
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন


খোকা খুকি ফুল বাগে করে কত খেলা,
প্রজাপতি ভ্রমরের সেথা বসে মেলা।
প্রকৃতির সাথে যেনো মিশে গেছে তারা,
হাসি খুশি মনে সবে হয় দিশেহারা।


খুকি সাজে বউ রাণী খোকা সাজে বর,
ধুলোবালি তৈরি বাড়ি তালপাতা ঘর।
পাতার রুমাল মুখে লজ্জা করে খোকা,
হবু শালি হেসে বলে দুলা ভাই বোকা।


মায়ের ছিঁড়া ওড়না খুকি পরে শাড়ী,
রূপনগরের কন্যা রূপবতী নারী।
রাস্তা বেয়ে কাজী আসে বিয়ের পিরিতে,
হোঁচট খেয়ে পড়লো ধুলোর সিঁড়িতে।


আমন্ত্রণে এসেছিলো পরীদের রাণী,
গানে গানে সুর তুলে কত সুধা বাণী।
কাদা বালু নিয়ে নৃত্য আতসবাজিতে,
কলাপাতা থালাবাটি কেউবা মাজিতে।


মা ও বাবা দেখে তারা ডাণ্ডা নিয়ে তাড়ে,
খোকা খুকি ভোঁ ভোঁ দৌড়ে ওরে বাবা মারে!
এইভাবে কাটে বেলা খেলাধুলা শেষ,
ধুলোবালু মুছে ওরা বাড়ি ফিরে বেশ।
===================


প্রভাত বেলা
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন


খাঁচার ভেতর ময়না টিয়া
ডাকছে প্রভাত বেলা,
খুকুমণি ওঠো ওঠো
আর করো না হেলা।


আমার খুকি ময়না পাখি
থাকবে মহা সুখে,
লেখাপড়ায় গড়বে জীবন
ফুটবে হাসি মুখে।


জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিবে  
লোক-সমাজের মাঝে,  
সবার কাছে অমর হয়ে  
রইবে সকল কাজে।


প্রাণের প্রিয় ময়না সোনা
এসো আমার কাছে,
ওই শোনা যায় কোকিল ডাকে
কুহু কুহু গাছে।


ভোর হয়েছে পড়তে বসো
বইটি নিয়ে হাতে,
হাত পাকিবে লিখতে থাকো
সাদা খাতার পাতে।
===========