মায়ের কবর 
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন
রচনাঃ ১৮-০১-২০২৪ ইং


ঘুমিয়ে ছিলাম গভীর রাতে হঠাৎ খবর এলো,
মোবাইলে কান্না করে বৌ বলে মা গেলো!
তিন তারিখে জানুয়ারিতে দিনগত মাঝ রাতে,
চব্বিশ সালের ৪ঠা দিনে শোকেতে মন মাতে।


জংশনে যাই রেলগাড়ি নাই যাত্রা গেলো থেমে!
বাইক 'পরে দ্রুত গেলাম কল্যাণপুরে নেমে।
রওনা দিলাম ছয় ঘটিকায় হানিফ গাড়ির 'পরে,
মন ভাঙে মোর বেদনাতে অশ্রু চোখের ঝরে।


একটা বেজে হাজির হলাম মায়ের লাশের পাশে,
কত লোকের ভীড় জমেছে অশ্রুতে চোখ ভাসে!
বাঁশ ঝাড়ে কেউ কেটেছে বাঁশ কেউ খুঁড়েছে কবর,
কেউ দিয়েছে গোসল মায়ের যায় না ধরা সবর।


ঠিক হয়েছে মা'র জানাজা আসর পরে হবে,
তার কিছুক্ষণ পরেই মা যে গোরস্থানে রবে।
তিন ঘটিকার পরেই মাকে খাটলির উপর কাঁধে,
বহন করে নিয়ে গেলাম স্বজনে সব কাঁদে।


গোরস্থানের মাঠেই হলো মা'র জানাজার নামাজ,
মাটি দেবার জন্য তখন ব্যস্ত হলো সমাজ।
সম্পর্কে আর কেউ ডাকে না লাশ বলে সব ডাকে,
কষ্টে বুকের ছাতি ফাটে রাখবো সেথায় মাকে!


নিঠুর আমি পাষাণ এ মন কবর মাঝে নামি,
হয়নি দয়া মা জননী কতই ছিলো দামি!
পাঁচগাছির ওই গোরস্থানে বাঁশ বাগানের তলে,
নিজেই মাকে দাফন করে ভাসি নয়ন জলে।


আল কোরআনের কালাম পড়ে মাওলা বলে ডাকি,
জান্নাতে দাও তোমার ডাকে মা দিয়েছে ফাঁকি।
অন্ধকারে মা'র কবরে জ্বালাও নুরের দীপ্তি,
মা যেন পায় সর্বক্ষণেই স্বর্গলোকের তৃপ্তি।