১/
নগ্ন নারীর মূর্তি
ইব্রাহিম হোসেন


নগ্ন নারীর মূর্তি কেনো
আমার দেশের পর,
ইবলিশেরা দিচ্ছে কেনো
সোনার দেশে ভর?


এমন মূর্তি বানায় যারা
মারো লাথি চড়,
মা ও বোনের বাঁচাও সম্ভ্রম
তুলো বিনাশ ঝড়।


নারীর পেটে জন্ম নিয়ে
নারীই হরণ চাও,
কেমন তুমি মায়ের ছেলে
নারী ভোগে ধাও ?


জন্ম দিলো যে মা তোকে
স্বর্গ পায়ের তল,
রং তামাশায় মাতিস কেনো
হরিলুটের দল ?


নগ্ন নারীর ভাস্কর্যেরই
মদদ দাতা কই ?
তোর মায়েরই তোর বোনেরই
ভাস্কর্যটা ওই।


এমন যদি ভাবিস মনে
বাঁচবি পাপের দায়,
করবেন ক্ষমা পাপের রাশি
স্রষ্টা মালিক সাঁই।


নগ্ন নারীর ভাস্কর্যে ঐ
শয়তান হাসি পায়,
দেশ বিদেশের দালাল গুলো
মজা লুটে যায়।


তৈরিকারী ভাস্কর্য ঐ
বলছি তোকে তাই,
থাকতে সময় সঠিক পথে
আয়রে ছুটে আই।


আল্লাহ যদি নারাজ থাকেন
পার পাবি না তুই,
ইহজগৎ পরজগৎ
হারাইবি যে দুই।
===========


২/


নগ্ন ভাস্কর্য
ইব্রাহিম হোসেন


ধ্বংস হবি বিনাশ হবি
এমন কারি'গর,
বানাস যারা নগ্ন ছবি  
বাংলা মাটির পর।


নারী থাকবে পর্দা করে
ঘরে বাইরে সব,
রক্ষা করো মাওলা ওগো
সৃষ্টিকারী রব।


যে ভাস্কর্য নষ্ট করে
নারীর ইজ্জৎ মান,
এমন মূর্তি চাই না দেশে
মারো ধ্বংসের বাণ।


যে বা যারা করছে এমন
শক্তি যাদের বেশ,
বিনয় করি প্রভু তুমি
দাও করে দাও শেষ।


নারী যে মা নারী যে বোন
নারীই সুখের ঢেউ,
নগ্ন নারীর ভাস্কর্যে আজ
দেয় না বাধা কেউ।


এই যদি হয় মুসলিম দেশে
এই যদি তার সাজ,
খোদার কশম নাজিল হবে
লানত নামের বাজ।


বাঁচবি না কেউ বুঝবি তখন
ইবলিশেরই দল,
জাগো মুমিন দেশ বাঁচাতে
বুকে রাখো বল।
============


বিশেষ দ্রষ্টব্য ঃ-
অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ সম্মানিত সকল প্রিয়
পাঠক পাঠিকা, ভাই, বোন,বন্ধু, এবং সকল কবিগনের প্রতি।  
আমার এ কবিতা দুটি  হিন্দু, বৌদ্ধ, খৃস্টান, মুসলিম, নির্বিশেষে সকল জাতির মা ও বোনদের ইজ্জৎ রক্ষা করার জন্য দুটি প্রতিবাদী লেখা কবিতা ।
কেননা, পৃথিবীর সকল জাতির মানুষেরই মা- বোন,স্ত্রী ও কন্যা আছে। তার পরেও যদি আমার এ কবিতাদ্বয় কারও কাছে খারাপ লেগে থাকে, তবে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখিত এবং ক্ষমাপ্রার্থী।