নারী তুমি বিদ্রোহী হও
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন


নারী তো নয় পণ্য ভোগের - সুখের তরী নারী,
পায় না স্নেহ ভালোবাসা - গেলে শ্বশুর বাড়ি।
মা ও বাবার মায়া ত্যাগী - দেয় সকলে ঝাড়ি,
অসহায়ের মতই সে যে - ঝরায় চোখের বারি।


এদের তরে লড়তে আমি - সদাই থাকি তৈরী,
ভয় করি না এই জীবনের - হয় যদি কেউ বৈরী।
বিদ্রোহ'টা দেই ঘোষণা - শুধুই তাদের জন্য,
পাক ফিরে পাক তাদেরই হক - হোক্ না জীবন ধন্য।  


সাদা সিধা মনটা তাদের - পায় খোঁটার- ই জ্বালা,
উপহাসের তির মেরে ফির - দেহ করে কালা।
শ্বাশুড়ি দেয় উসকানি যে - শোন্ রে আমার খোকা,
বউয়ের কথায় নাচন কুঁদন - তুই যে বড়োই বোকা।


মারে দেবর, মারে ননদ - মারে শ্বশুর বাবা,
চুলের খোঁপা ধরে মারে - প্রাণের স্বামী থাবা।
নির্যাতনের শিকার হয়ে - কাঁদে নারী ঘরে,
সুখের ঘরের চালা উড়ায়- বৈশাখী সেই ঝড়ে।


পথে-ঘাটে চলতেও নারী - হারায় ইজ্জত শরম,
বখাটেরা কুদৃষ্টিতে - দেখায় তাদের গরম।
কুপ্রস্তাবে নারাজ হলে - এসিড মারে তারে,
অবলা এই নারী কেঁদে - চোখের পানি ছাড়ে।


আর কত কাল সইবে নারী - এমন করুণ জ্বালা?
বাহুতে বল রেখে তুমি - ভাঙো খাঁচার তালা।
ও নারীরা! শোনো বলি - প্রভু স্মরণ করো,
অত্যাচার ও নিপীড়নের - গলা টিপে ধরো।


এই সমাজে হক যে আছে - তোমাদেরও বাঁচার,
থাকবে কেনো নির্যাতনে - বন্দী পাখি খাঁচার?
বিদ্রোহী হও দাও ঘোষণা - তোমরাও মানুষ সবে,
অত্যাচারীর দাঁত ভেঙে দাও - শান্তি পাবে তবে৷