পিতামাতার ঋণ
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন


গগন ভরা চন্দ্র তারা জ্যোৎস্নামাখা রাত,
নিজের হাতে খাইয়ে দেওয়া দুধ কলা আর ভাত।
সকাল বেলা পাখির কূজন মায়ের মধুর ডাক,
পড়তে বসো লক্ষ্মী সোনা কী সুমধুর বাক!


আদর করা যত্ন করা ঘুম-পাড়ানি মা,
এই ভুবনে মায়ের কভু তুলনা হয় না!
বিদ্যালয়ে যাওয়ার কালে গালে দিতেন চুম,
খুশিতে মন আত্মহারা উল্লাসেরই ধুম।


বিকেল বেলা খেলাধুলা সন্ধা লগন পর,
ফিরতে দেরি বকাঝকা চিত্ততে কাঁপ ডর।
বাবা তখন মিষ্টি হেসে নিতেন কোলে তাঁর,
আর কখনো হয় না যেনো এমন দেরি আর।


সেই শিশুকাল মনে পড়ে বাবা মায়ের শাসন,
আদর সোহাগ যত্নে ঘেরা মাতৃক্রোড়ের আসন।
উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত আজ পিতামাতার তর,
হয় না কভু পর জীবনে যতই আসুক ঝড়।


তাঁদের সাথে ত্রিভুবনে নাই যে কারো তুল,
জীবন গড়ার সেই কারিগর পিতা মাতাই মূল।
মনে পড়ে হাজার স্মৃতি বাল্যকালের দিন,
চামড়া ছিলে পাপোশ দিলেও শোধ হবে না ঋণ।