পুরুষের জীবন
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন
রচনাঃ ০৮-১০-২০২৩ ইং


জীবন বড় কষ্টের, সে তো বড়ই কষ্টের!  
বাঁচার তাগিদে পেটের দু'মুঠো দানা-পানির  নিমিত্তে কঠোর পরিশ্রমী!
পালতে হবে সংসার বৌ বিবি বাচ্চা আর
সামলাতে হবে হাজারও ধাক্কা,
তাই তো খেয়ে না খেয়ে অন্যর জন্য নিজেই সংযমী।


রোদ বৃষ্টির মাঝে দিন-রাত সকাল সাঁঝে
আপ্রাণ চেষ্টায় বিভোর থাকে স্বপ্ন দেখে দু'টি চোখে,
ছেলে আমার হবে বড়, বড় হবে কন্যা, সুখে রবে অর্ধাঙ্গিনী,
নিজের পায়ে দাঁড়াবে বয়ে যাবে সুখের বন্যা
আশার পানে চেয়ে থাকে মলিন মুখে।


নিজের গায়ে ছেঁড়া জামা, ছেঁড়া লুঙ্গি, ঘাড়ের গামছাখানাও ছেঁড়া!
নাই কোনো ভাবনা নিজের জন্য,
কীভাবে পাবে? ছেলে সন্তান, কন্যা বিবি
একটি সুন্দর জামা কাপড়, তবেই হবে সে ধন্য, এই ভাবনায় অনন্য।


দিন শেষ বেলা গড়ে সন্ধা নামে পড়ন্ত দুপুরের পর,
ক্লান্ত শরীর তপ্ত দেহ তবুও হামাগুড়ি দিয়ে চালিয়ে যায় নিজের কর্ম,
পরিবারের তরে সে অকাতরে নিজেকে বিলীন করে
ভেবে নেয় এটাই তার ধর্ম,
বুঝে না হায়! বুঝে না কেউ তার মর্ম!


ছেলেমেয়ে মানুষ হয়, সে বার্ধক্যে উপনীত হয় জীবনের সুখ আহ্লাদ বিসর্জনে,
একটি পরিবারের জন্য জীবন যৌবন সকল স্বার্থ বিলুপ্ত করে নুয়ে পড়ে পরাজিত হয়ে রণাঙ্গনে।


কী পেলো সে শেষ জীবনে? শুধুই দীর্ঘশ্বাস!
হায় হায়! শুধুই দীর্ঘশ্বাস!
ছেলে বলে মেয়ে বলে বাবা তুমি কী রেখেছো আমাদের জন্য?
করুণের স্বরে বলে নেই কিছু আঁখিজলে
আজ আমি হয়েছি পূর্ণ, তবুও জানি এ জীবন খানি লাগে যেন শূন্য!