১/
রূপের রানী পল্লী ( ১৪৭১ তম রচনা )
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন
তারিখঃ ২০-১০-২০২১' ইং
পল্লী গাঁয়ে জন্মেছি যে পল্লী ভালো'বাসি,
এইখানে মোর জন্মভূমি তাই তো ছুটে আসি।
শহর বাজার ভাল্লাগে না বিদেশ ভূমে তবু,
যখন তখন মনে পড়ে, যায় না ভোলা কভু।
পল্লী গাঁয়ে বটের ছায়া মৃদু বাতাস বহে,
রূপের রানী পল্লী যে ভাই হেসে কথা কহে।
কষ্ট হলেও সুখের আবাস পল্লী মনে গাঁথা,
পল্লী থেকে থাকলে দূরে মনে হাজার ব্যথা।
হাওয়ায় হাওয়ায় দোল দিয়ে যায় ক্ষেতের সবুজ ধানে,
পাখ-পাখালির কিচিরমিচির কোকিল মাতে গানে।
সরিষার ফুল ফোটে কত হলুদ বরণ ধারণ,
শোভা ছড়ায় পল্লী মাঠে, পল্লী রূপের কারণ।
বর্ষাকালে জলে ভরে পল্লীর খাল-বিল নদী,
ফাগুন ছড়ায় ফুলের রানী শরৎ আসে যদি।
শীত, বসন্ত, হেমন্তকাল, কৃষকের শ্রম মাঠে,
নদীর পারে আমতলী চর মাসকলাই ও পাটে।
শিমুল গাছের মগডালে ওই শিমুলের ফুল ফোটে,
মালির বাগের ফুলের ঘ্রাণে ভ্রমর এসে জোটে।
পল্লী গাঁয়ের মেঠো পথে রাখালে সুর তোলে,
ছোট্ট শিশু মায়ের কোলে সুরের তালে দোলে।
ধন ও ধান্যে ভরা থাকে পল্লী গ্রামের রূ'প,
অবাক নয়ন বিস্মিত হই চেয়ে থাকি চু'প।
রূপের রানী পল্লী আমার সবার থেকে সেরা,
রূপেগুণে নেই তুলনা রূপেই যেনো ঘেরা।
======================
২/
দ্বন্দ্ব ভুলো
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন
তারিখঃ ২২-১০-২০২১'
আমরা ভবে শ্রেষ্ঠ জাতি
শ্রেষ্ঠ মানব কুলে,
রেষারেষি বিদ্বেষ কেনো
আঘাত মারি হুলে ?
কারো মনে আঘাত দেওয়া
হয় গো যদি ভুলে,
চাও গো ক্ষমা মরার আগে
নইলে যাবে শূলে।
শেষ বিচারের কঠিন দিনে
পাবে নাকো ক্ষমা,
তোমার সকল পাপের ডালি
রবে সেদিন জমা।
মন ভাঙা আর মসজিদ ভাঙা
জানি একই কথা,
স্বার্থলোভে মন আঙ্গিনায়
দিওনা আর ব্যথা।
পাপের সাজা পেতেই হবে
রেহাই পাবে নাকো,
দ্বন্দ্ব ভুলে মিলেমিশে
আল্লাহকে ডাকো।