সংগ্রামী জীবন
মোঃ ইব্রাহিম হোসেন
তারিখঃ ১২-০৮-২০২২,  শুক্রবার


জীবনের সাথে লড়ে হয়েছি যে বড়,
নাই কোনো দুখ যদি অবহেলা কর।
ছোটকালে হারিয়েছি প্রাণেরও বাবা,
এসেছে জীবনে কত জ্বালারও থাবা।


জমিজমা ছিল কত ছিলো না অভাব,
তবুও তো যায়'নি গরিবী স্বভাব।
জমিদার বাবা থেকে কেন এই হাল?
নাহি লেখা ভালে তাই এমনি কপাল।


দয়াময় বিধাতায় করেছে পালন,
মায়ের আদরে হয় জীবন লালন।
কষ্ট করে স্বপ্ন দেখে জন্মদাত্রী মাতা,
ছেলে মোর হবে বড় নাই বোন ভ্রাতা।


বিদ্যালয়ে ভর্তি করে দেন বই হাতে,
কোথা থেকে এলো এক রূপবতী সাথে।
এক দুই তিন করে প্রাইমারি শেষ,
উচ্চ বিদ্যালয়ে গিয়ে প্রেম জমে বেশ।


বিধাতার লীলাখেলা বুঝা বড় দায়,
কিছুদিন পরে নাই সেই মেয়ে হায়!
আসিলো জীবনে নেমে মরণের জ্বালা,
সেই জ্বালা হলো মোর এ গলার মালা।


মায়ে ভাবে লোকে ভাবে বিয়ে দিলে ঠিক,
এই ছেলে খুঁজে পাবে উন্নতির দিক।
কথা যা-ই কাজ তা-ই বিয়ে হলো সেই,
তবুও জীবনে এই কি যেন কি নেই।


মন নাহি বসে কাজে লাগে নাকো ভালো,
চারিদিকে অন্ধকার নাই ঘরে আলো।
চিত্ত মাঝে বিষণ্ণতা অশ্রু গড়ে যায়,
বুঝায় আমাকে মাতা ডেকে ইশারায়।


বউ কাঁদে মা ও কাঁদে কাঁদে পরিবার,
অবশেষে বুঝ আসে এই অভাগার।
সংগ্রামী জীবন এই বেদনা বিধুর,
হাতছানি দিয়ে ডাকে কাব্য সুমধুর।