স্বপ্নের রাণী   
ইব্রাহিম হোসেন 


রাত্রি গভীর চন্দ্রালোকে ঘুমায় পড়ি ছাদে,
ঘুমের ঘোরে স্বপ্নে এসে লাল পরীতে বাঁধে।


ঘুমে বিভোর ডানায় করে উড়ে আকাশ পথে,
ভাবছি আমি যাচ্ছি যেনো স্বর্গ পরীর রথে।


সাত সমুদ্র তেরোই নদী তেপান্তরের পারে,
সিংহাসনে বসায় আমায় যত্ন সহ'কারে।


লাল পরীর আমন্ত্রণেই নীল পরীরা ঘরে,
দুরু দুরু হৃদয় আমার কেঁপে উঠে ডরে।


নাকে নোলক দুই কানে দুল গলায় হীরার মালা,
ঝুমকা পায়ে নীল পরীরা করছে আমায় জ্বালা।


সবার মুখে ফোটে হাসি মুখটা আমার কালা,
মিষ্টি হেসে লাল পরীতে দিয়ে দিচ্ছে গলায় মালা।


সানাই বাজে বাজনা বাজে বসে পরীর মেলা,
ফুল পরীরাও এসে করে তাদের সাথে খেলা। 


ভয়ে ভয়ে একটু হাসি একটু পরেই কাঁদি, 
হাজার রকম দিচ্ছে খাবার লাল পরীরই বাঁদি।


বাঁধি তো নয় দেখতে যেনো স্বপ্ন পুরের রাণী,
নাচে-গানে ভোলায় রাখে লাল পরীরই বাণী।


আবার দেখি জুব্বা পরে আসলো কাজী বাসে,
লাল পুরী যে বধুর বেশে বসলো আমার পাশে।


কবুল কবুল তিন কবুলে করলো আমায় বিয়া,
ঋণ শোধিলাম দেন-মোহরের একশো টাকা দিয়া।


বাসর রাতে দুজন মিলে কতই কথা বলি,
ঘুম ভাঙলে দেখি আমি আমার বাড়ির গলি।


মনে মনে বলি আমি লাল পরী তুমি কই?
আবার এসো স্বপ্নে আমার দেবো মিষ্টি দই।


লাল পরীর সে প্রেমের কথা আজও আছে মনে,
স্বপ্নে দেখি স্বপ্নে আসে ভাসে চোখের কোনে।