আমার সখের সবুজ চাদর, লাল রঙে দিয়েছি রেখ
বাংলাদেশের নিশানার মত; সবুজের মাঝে লাল চেক ৷
খুব সখেতে বুনছি পাটে, পরব শীতের ছোঁয়ায়
শীত ভরিয়া রাখব গায়ে, থাকবে শরীরের মায়ায় ৷


কন-কনা শীতে, ঠন-ঠন করে কাঁপবে না গায়ের পরশ
হাওয়ার তালে, প্রাকৃতিরা কাঁপপে; আমি পাব আরাম আয়েশ ৷
কিন্তু না তো তা হলো না কাঁপছে এ কোন বুড়ি!
হিমশীতলে গাছ তলা ছাড়া, নাই কি তাহার বাড়ী!


খুব আদরে বলছি তাকে দাদু তুমি কে?
কাঁপছ কেন থরথর করে? আসছ কোথা থেকে?
খুব কাতরে কান্না করে বলছে দাদু ভাই!
দুই জনমে আমার সনের আপনজনা, কেউ নাই ।


আসছি আমি নিম তলা থেকে, দূর পথে'তে চেয়ে
থরথর করে কাঁপছি কারণ, নাই যে কিছু গায়ে ৷
থাকছি আমি গাছ তলাতে আপনজনা নাই
কেউ আমায় ডাকে না আর দেয় না কেউ ঠাই ৷


দাদু তুমি এই চাদরটি গায়ে পরতে নাও!
আমায় তুমি দোয়া করে হাত বুলিয়ে দাও !
চাদর খানি অনেক সখের জতন করে রেখো
আমার কথা মনে পরলে চাদর খানি দেখো ৷


প্রকাশনাঃ দৈনিক বাংলার কণ্ঠ পত্রিকা ।