ময়লা পাঞ্জাবি আর ছ্যাঁড়া স্যান্ডেলে
জীর্ণশীর্ণ যু্বক রাস্তায় হেঁটে চলছে
ভিড় ভিড় করে হাঁটতে থাকা যুবক কখনও দু'ঠোঁটের কোণে হাসি ফোটায়
কখনও ভ্রু কুঁচকে সহ্য করে বুকের ভিতর উঠা ঝড়ের অশ্লীল তান্ডব।


না বলা কথারা বড্ড জ্বালাচ্ছে বলে খাওয়া-নাওয়া কিচ্ছু নেই,
পুরো শরীর জুড়ে ক্লান্তির সমাহার
তবুও অনুভবে নেই।


তাকে দেখে কেউ ভাবছে নেশাখোর আবার কেউ বলছে উন্মাদ
কেউ বড় নিঃশ্বাস নিয়ে বলছে, আহা!  কোন অভাগা মা-বাবার সন্তান?


কিন্তু কাছে এসে জানতে চায়নি বুকের ভিতর বেহায়া যন্ত্রণার কথা
কেউ ভালবেসে জিজ্ঞেস করেনি দু'মুঠো খেয়েছে কি-না
পাশে বসে কেউ বলেনি, আমি তোমার যন্ত্রণার ভাগীদার,
কেউ না, কেউ না।


জ্বলছে, জ্বলছে, জ্বলছে
মনে মনে চিৎকার করে বলছে
বিশ্বাসের একফোঁটা অশ্রু দাও, বেঁচে থাকার তৃষ্ণা মেঠাবো।


কেউ আসেনি, কে আসবে দুর্গন্ধ ভরা যুবকটির ধারে!
বরং নানান ছলে পাশ কাটিয়ে অব্যক্ত টিপ্পনী দিয়ে হাসতে হাসতে চলে যায় বহুদূর।


যুবক এখন চৌরাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে অগনিত মানুষের বেহায়াপনা দেখছে
আর নিজেকে স্বান্তনা দিচ্ছে বেশ ভালো আছি।