মাঝে মাঝে চুপচাপ হয়ে যাই
কারণে অকারণে,
কারণের চেয়ে অকারণটাই বেশি বোধহয়,
কেন যেন চুপ হয়ে যাই বলতে পারি না।

হয়তো তোমার আদিখ্যেতা
হয়তো আমার সব কিছুতে তুমি খোঁজো উষ্ণতা
কিম্বা প্রকৃতির ভয়াল নির্মমতা
অথবা নাড়ীর টান, নারীর প্রেম-ভালবাসার ব্যর্থতা।

কে জানে! কি কারণ
মায়া ভালবাসা আজ রক্তাক্ত লাশ হয়ে
থুবড়ে পড়ে আছে চাওয়া পাওয়ার গলিতে,
কাক চিলের আনাগোনায় কুকুর বেশ খেয়ালী দৃষ্টিতে
হা করে বসে আছে এক টুকরো পঁচা মাংসের নেশায়।

যাদের সাথে চলা, বলা
ক্রোশের পর ক্রোশ নির্ঘুম পথিক যারা
তারা স্বার্থের টানে জীবনের গল্প বলে,
নয়তো দখিনের কালো মেঘ দেখে তারা কেন পিছু হাঁটে!

টাকার নেশায় ছুটছে রাজনৈতিক চোরাকারবারি
নীতি বাক্যে আমাদের অন্ধ বানিয়ে
করছে হানাহানি, রাহাজানি।

বীর্য অবসানের নেশায় ছুটছে ধর্ষক
কোমলমতি শিশু আর গার্মেন্টস কর্মীর পিছু,
হোটেল কিম্বা ফ্ল্যাটে প্রেম ভালবাসার নামে আত্মপ্রবঞ্চনায়
কাঁদে বিশ্বাস।
আমি শুধু দেখি
এই সমাজে প্রতারকদের কদর বেশি।

বাড়ি-গাড়ির নেশায়
ডাক্তার হয়েছে কসাই, আইনজীবী মিথ্যুক
সরকারি আমলারা যা ইচ্ছে তাই ব্যবহারে ভরছে পকেট,
পুলিশ এখন শক্তের ভক্ত নরমের জম,
সাংবাদিক নীতি হীন, দু'চার পয়সা লোভে তেল মাখিয়ে বাজিমাৎ।
ব্যবসায়ীদের পেট ' আটলান্টিক মহাসাগর '
মজুদের নামে মারছে মধ্যবিত্ত, ধনী-গরীব আছে বেশ।

মসজিদের ইমাম, মন্দিরের ভিক্ষু-ঠাকুর , গীর্জার পাদ্রী, সিনাগগের মোজেস
গ্রন্থকে পূঁজি করে ইচ্ছেমত সাজিয়েছে ধর্ম।
কি করে বলি! হে বাঙালি!  যা শুনো তা সঠিক নয়, যতটা লেবাসীরা বলে।

আমি চুপচাপ হয়ে দেখি
মানুষের পেটে মানুষ জন্মায় না, জন্মায় শিয়াল।
তাই আমি খাদক, আমি ধর্ষক, আমি বক ধার্মিক
মানুষ মেরে তোমরা কর্তা, আমি চুপচাপ সয়ে যাই।