কতদিন ভেবেছি কোথাও কেউ নেই।
কিছু নেই।
মানুষ, মানবতা, নীতিবোধ, আদর্শ
সব শুধু  প্রাচীন কবরের গায়ে লেখা রংচঙ্গা এপিটাফ!
.


প্রখর রোদে হাঁটতে হাঁটতে ঘামে ভেজা শরীরের দিকে তাকিয়ে বলছি-
শালার বেহায়া জীবন!
এভাবে বেঁচে থাকার মানে কিরে?
শহরের হাইরাইজ বিল্ডিং গুলোকে লোভাতুর চোখে গিলে খেয়ে_
ওয়াক থু! বলে নিজেরই ছায়ার উপর থুথু ছিটিয়েছি বারংবার।


.
দিনে দিনে খসে পড়েছে দেয়ালের পলেস্তারা,
মাথার ঘন কালো কেশে বাসা বেধেছে সাদা ক্লোরফিল।
শরীরে কোষে কোষে দেখেছি চৈত্রের দাবদাহে চৌচির বিরান মাঠ!


.
পড়ন্ত বেলায় ভাঁটার জল শুধু
দীর্ঘায়ত করেছে বুকপোড়া নিঃশ্বাস।
সায়াহ্নের  সিঁড়িতে দাঁড়িয়ে  বিবেকের ডাইরী খুলে  লিখে যাই
জীবনোপলব্ধীর মর্মকথা -আজন্ম মুখবন্ধ যেখানে প্রকৃতির চিঠি।
জীবন সেখানে শুধু শূণ্য বালুঘর।