ওটা তিথির শেষ চিঠি,
জীর্ন।হলদে একটা কাগজ,
বেসুরো রক্ত হারানো কটা অক্ষর ,
আর এলোমেলো আকাশের কান্নার স্রোত।


ভালবাসায় হেরে যাওয়া মানুষটার,
ঠকে যাওয়া সংসার ফাঁদে জড়ানো মুখ,
অবিশ্বাসের কথার আকাশে,
ব্যার্থ সুরের কান্না ভাষা কথা।


বাঁচতে চেয়েও বাঁচতে পারেনি,মেয়েটা,
বলে দেয়নি কেউ-জীবন একটা হিসেব,
ভালবাসা শুধু স্বপ্ন না,
আছে চাল ডাল সংসার।


বছর কুড়ি হয়ে গেল হয়তো,
কোথাও কিছু থেমে নেই,
জীবন চলছে তার নিজের সুরে।


হিসেব খাতায় এখন ওটা গল্প,
হারালো সুন্দর একটা মুখ,
ভালবাসা জানান দিতে,
জীবন দিয়ে গেল মেয়েটা।


ওটা তো আবেগেরই বয়স,
মন ছোটে দেখায় কথায়,
জানা ছিল না ওর লুকোনো হিসেব।
ছিল না জানা দিন প্রতিদিনের হালখাতা।


ও বয়সে,
ভালবাসা নিশি ডাকে নিয়ে যায় অচেনায়,
শরীর চেহারায় আসে অজানা ঝড়ো মেঘ,
দুটো হাত,একটু ছোঁয়া,
জানা ছিল না তিথির ভালবাসার আগামী হিসেব।


তিথি জানি না কেমন আছিস?
হয়তো ভাল নেই স্বপ্নের একাকীত্বে,
আছিস তবুও আমাদের মনের মনে,
দিন প্রতিদিন ছাড়ানো সময়ের সময়ে।