কদিন ধরেই বৃষ্টি-বেশ বৃষ্টি,
কান্নায় ভেঙ্গে পড়া আকাশটা,
একগাদা মুখ-ভঁরা দুঃখের সাজ।
ভেজা কাকটাও-একা,
বৃষ্টির সুরে-চীৎকার তার,
পুরোনো হারানো কথা খোঁজা।
একা সে-ও যে বড় একা।
তিথির স্মৃতির-মাধবদা,
চাঁদের আলোর সময়গুলো-
কথা শুধু-কথার সাথে,
কান্নায় পুরোনো-বৃষ্টির সুরে।
রাখালপাড়ার কালীবুড়ী-
কান্নায় একা-
টেনে আনা স্মৃতির সুর,
আর কি হওয়া না হওয়া-পুরোনোর বুকে।
বৃষ্টির সময় এটা-
বৃষ্টি আসবে-এটাই তো জানা,
বৃষ্টির সুরে এলেমেলো হওয়া-সবাই,
নিয়ম তো ওটাই।
পুকুরপাঁড়ে রত্না-
বৃষ্টি বৃষ্টি ভেজার খেলা-তার,
কাগজের নৌকায় আগামীর স্বপ্ন,
নতুন সাজানো-আর পুরোনোর কথা।
মাধব বাড়ীর ছুটে আসা-ইলিশ খিচুড়ী,
বেগুনভেজাও হয়তো বা মেশানো,
বৃষ্টির সুরের ছবি একটা।
বাতাস আর বৃষ্টির মিতালী অনেক,
বাতাসের ঠোঁটে বৃষ্টির সকাল-
ফেলে আসা দুপুরে শরীরের গান
ওটাও তো-জীবন সুরের আরেকটা কথা।
সুতপার ঠোঁটের ভালবাসার সকাল,
ইন্দ্রানীর ভালবাসার শরীর-
কটা পুরোনো গানে,
শুধু বৃষ্টির স্মৃতি-এখন।
চারপাশের অত্যাচার-
কান্না এক গাদা-দূর্বল মুখগুলোর
ভেসে যাওয়া হয়তো এই বৃষ্টির সুরে।