ধরো হারিয়ে গেছে বছর কুড়ি,
মাধবপুর কি নীতিনপুর,
তুমি,তোমার-দেখা,অদেখার গ্রামটায়,
চেনা,অচেনা-দু একটা মুখ,
গল্পের ধুলোয়-হারানো কথা কো্থাও।


ছুটছো অযথা-জমির আইল ধরে,
ছড়ানো ছিটানো শহর-খেলা,
বেসুরো জীবন খোঁজার কথায়,
গ্রাম খোঁজার বেমানান মুখ।


ধান সবুজ-বাতাস সুর,
আকাশ ছোঁয়া পাখীর ডাক,
জানা পৃথিবী-অজানা তবু,
দেখবে শুধু অবাক-চোখে।


বয়স ভাঙ্গা রমজান,
খেলার সাথী-পূরবী,সখিনা,
চিনবে কি ওদের আর?
সময়ের সময়ের গল্পটাও-বদলানো ভাষায়।


অবাক হয়ে দেখবে কজন,
বলতে গিয়েও থমকে যাবে, ‘তুই রুবীনা...’।
হয়তো তুমিও কিছুটা অবাক দেখায়,
বলা না বলায় হেঁটে যাবে নিজের সুরে।


সাথে রোকেয়া,ইলা,পারভীন-গ্রাম খেলার নতুন মুখ,
ছন্দ ছাড়া বেড়া ঘর,
চাঁদের সুর-এলেমেলো,
কাদা ছড়ানো উলঙ্গ চেহারা,
ছড়া ছবির অবাক  গল্প এক।


ছুটছে ধানের সুবাস,
কাটারী,আমন একটা কিছু,
চেনা পৃথিবী অচেনা আলোয়,
সাজ করে পান্তা হওয়ার গল্প,কোথাও।


রুবীনা ছিলে তুমি মাধবপুরে-
এখন তুমি শহর অচেনা,
নেই সবুজ আকাশ,
নেই মন ছোঁয়া কান্না।


বদলে গেছে সময় তোমার,
থাকলো না হয় চশমা চোখে,
ওটাও যে মানানসই,
হাতে হাতে ছুটবে তুমি,সাথে হয়তো কেঊ।


মানায় সবই তোমাকে,
তুমি তো আর গ্রাম নও,
তুমি এখন বৈশাখী মেলার পান্তা লঙ্কায়,
গ্রাম হওয়ার গল্প।