চিরসবুজ উর্বরা বাংলা আমার প্রকৃতির জননী
দিগন্ত প্রাণবন্ত তার মৃত্তিকার উদরে খনী ।


গ্রামের মেঠো পথ নগরের সরু গলি
গাছের সবুজে মিশে খেলা করে পাখ-পাখালি ।


অজস্র নদীর স্রোতে রুপোলি মাছেরা কাটে সাঁতার
পানকৌড়ি,বক , মাছরাঙা তাদের সুবেদার।


হলুদের গায়ে কালো ডোরাকাটার একমাত্র আশ্রয়
ম্যানগ্রোভ সুন্দরবন পৃথিবীর অনন্য বিস্ময় ।


বাংলার দূর্বাঘাস সন্ধ্যার সুদর্শনে
জীবনানন্দ; পল্লীকবি নকশী কাঁথার বুননে,
হাসু রাখালীর তরে সুর তুলে উজানে
বাদিয়ার ঘাটে এক পয়সার বাঁশি কিনে ।


সুফিয়া গাইল গীত যেথা মৌসুমি ফুল ফুটে
স্নিগ্ধ শরৎ আকাশের ছায়া লুটে,
সূর্যঝলকে বন্য পানলতা উপরে উঠে
সাঁঝের মায়ায় উদাত্ত পৃথিবীতে মন ও জীবন যেথায় টুটে।


আহসান হাবীব তোর নামে দিত পরিচয়
নুরুলদীনের শামসুল রক্তগোলাপে করেছে মৃত্যু জয়,
শীত বিকেলের সিমান্তের সিংহাসনে তার পদচছাপ হয়নি ক্ষয়।


তোর প্রকৃতির প্রেমে মজে সুকুমার খেল সাড়ে বত্রিশ ভাজা
হাঁসজারু,বকচ্ছপ,সিংহরিণ,হাতিমি একেবারে তাজা ।


রবী পেল সম্মান লিখে গীতাঞ্জলি
রং ছিল তোর তার ছিল তুলি
বলাকার পুনশ্চে গোরা চোখের বালি ।


ওরে বাংলা মা, শুধায় তোরে
আপাদমস্তক পুরোটা জুড়ে
ভালোবাসি আপনা আপনারে,
রাখিস মা বাহুডোরে
অভাগা এ সন্তানরে ।