ক্ষণিকের পৃথিবী ঘুমে ঢাকা
কোমল ঘুম ঘোর ঠেলে
মোয়াজ্জিন জেগে ওঠে
পুরনো কলসির ঠাণ্ডা জলে সাজায় ওজু।
তখনো ধানক্ষেত ঘুমায়,
ঘুমায় পাখিরা
আলোর দলা হয়ে ওঠার প্রস্তুতি নিতে থাকে সূর্য!
হাতে লণ্ঠন, কাঁধে চাদর, মুখে অনন্ত শান্তি নিয়ে
গ্রামের নিঃসঙ্গ মসজিদের দিকে ছুটে মোয়াজ্জিন
এক শুদ্ধ পথিকের মতো!
তিনি ডাকেন এই ঘুমন্ত জনপদকে
আকাশের স্তব্ধতা ভেঙে পড়ে
তার আসসালাতু খাইরুম মিনান্ নাউম ধ্বনিতে!
বাতাস যেন থমকে শোনে
শোনে পাখি, শোনে মেঘ
শোনে সমস্ত বিশ্বাসী আত্মা!
নামাজ ঘুমের চেয়ে শ্রেষ্ঠ
এত মধুর, এত গভীর
যা গর্ভধারিণী মায়ের মতো
আমাদের টেনে রাখে আকাশের দিকে মুখ করে।
নামাজ
সেতো হৃদয়ের কথা বলে আল্লাহর সম্মুখে
সেজদার মাঝেই ধরা পড়ে জীবন
এই সেজদা দিতে পারাই তো মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব!
এ এক সাক্ষ্য, আল্লাহর পক্ষ নেওয়ার
আর মানুষের চিরন্তন নিবেদন।