নদীর জলে ভাসত যে শব্দ
সেই ঢেউয়ের গুঞ্জন-
শুনি না এখন আর
যা বুকে বাজত!
আজ তো নদী নেই,কেবলই চর
তাকে মুছে দিয়েছে এক বিস্মৃত সময়।
সেখানে বেড়ে উঠেছে দূর্বা ঘাস
তার ডগায় শিশির, নরম ভোরের নীচে
আলতো রূপোর মতো ঝকমকে!
শিশুরা হেঁটে যায়, নদী পেরিয়ে
অচেনা মুখ, অচেনা চোখ
তবুও
তাদের পায়ের শব্দে কেঁপে ওঠে বুক!
কারণ এই নদীই
একদিন ফিরিয়ে দিয়েছিল আমার
ছোট ভাইয়ের নিথর দেহ!
ভেসে উঠেছিল—জলের ওপরে
তার ঠোঁটে তখনও লেগে ছিল
একটা অসমাপ্ত ডাক!
আমারও একদিন কথা ছিল
আকাশের কাছে, বাতাসের সঙ্গে।
সেই থেকে চুপ করে থাকে এই গলা
মনের পাখিরা ডাকে না আর,
বলতে ইচ্ছে করে না আর কিছু
অন্তরে নিঃশব্দের ফসল পাকে,
এই গায়ে, এই শরতে, এই একাকী বিকেলে
যেখানে নারিকেল পাতারা হেলে পড়ে ঘুমায়
আমি দাঁড়িয়ে থাকি মৌন এক বৃক্ষ হয়ে।