যখন শব্দের উপর শব্দ সাজিয়ে গড়া ইমারতে সুদৃশ্যত ফাটল
যখন গুটি গুটি পদক্ষেপে অন্ধকারের সাথে আমার পোড়া শহরের তীব্র আলিঙ্গন
যখন অপেক্ষার জানলার কার্নিশে আশাহত আঙ্গুলের ছাপ
যখন নিঃসঙ্গ বন্য পাখিরা
সুনীল শরীর জুরে প্রেয়সীর ক্ষতচিহ্ন নিয়ে ফিরে যায় সখের খাঁচায়
ঠিক তখনই, অন্ধ কানাই এর বাঁশি হাতে হেঁটে এসে আগলে ধরো পথ।
এলোমেলো তুমি,
তোমার ঘাস ফুলের টিকলি, নথ।
এদিক ওদিক তাকাই, প্রাচীন ভুল ভাঙ্গে।
কেউ এসে দাঁড়ায় না,
সমস্ত ভ্রম কাটিয়ে আবার অবেলায় হাতে নিই রুদ্ধশ্বাস কলম,
দীর্ঘ-জটিল-অন্তহীন ব্যাথা উগড়ে দিই কবিতায়।
খুঁজে বেড়াই প্লট, রোড বা সেক্টর-
ক্লান্তির মৌতাতে লিপ্ত
আমার অগনিত রক্তকনিকা,
বিন্দু বিন্দু ঘাম জমে সব সম্পর্ক হয় শিলালিপি।
বিড়বিড় করে আওড়াই-
“………আমারে দু-দণ্ড শান্তি দিয়েছিল নাটোরের বনলতা সেন।”
সুগন্ধি মোমের পুতুল হয় শরীর,
তবু বনলতা আসে নাই।
নাকি আসে? অ্যানটিবায়োটিক ‘আগুন’ হাতে নিয়ে!