খাঁচায় আবদ্ধ পাখি যখন ভেতরের নিগূঢ় কথা প্রকাশে ব্যর্থ হয়
তা তখন ক্যান্সার কোষে পরিণত হয়;
অমূল্যে অযত্নে পেয়েছিলাম একখানা,
মুক্ত করলাম, ক্যান্সার এর কেমো দিলাম;
পাখির জন্য একটা পৃথিবী দিলাম;
শূন্য খাঁচায় পৃথিবী ঢুকিয়ে, পাখি খাঁচা নিয়ে উড়ে গেলো!


পাখি শক্ত শিকল বেঁধে হৃদপিন্ডে,
জিজ্ঞেস করো, “তোমার বুকে জমাট রক্ত কোত্থেকে এলো?!”
চোখ উপড়ে দিয়ে আমায় বলো, “দেখ, মায়াভরা পৃথিবীর এ পথ কত রঙ্গিন!”
অথচ আমি যখন বলি এ পথের প্রান্তে নিহত কবিদের শিবির,
তখন কথায় কথায় বলো তুমি মরে যাবে!
কি অদ্ভুত, অনপেক্ষনীয় নিয়ম-
পাখি মুক্ত হলে আমি শৃঙ্খলিত হই,
আর আমি মুক্ত হলে পাখি।


আমি তো মরেছি সেই কবে;
আজ পাখির সপ্তম বিচ্ছেদ বার্ষিকী
আমার আত্মহত্যার সাত বৎসর পূর্তি;
ভাবছি একেবারে মুক্ত হলে কেমন হবে?!
খাঁচায় রেখে যাবো সাত বছরের পুরোনো কিছু শুকনো গোলাপ!


অতি শীঘ্রই আমার মুক্তি হবে;
মুক্তির আনন্দে মেঘ হয়ে দু’বেলা শরতের আকাশে ছুটে বেড়াব,
শেষ বেলা হবো আমি শ্রাবণ।
মেঘগুলো যদি বেপরোয়া হয়ে নেমে আসে খাঁচায়,
যদি আমার চিৎকারে হয় বজ্রপাত,
যদি প্রচণ্ড ভিজিয়ে দিই; দোহাই স্রষ্টার,
মৃত গোলাপ জড়িয়ে রেখো, মেঘ হওয়ার আগে!