একদিন হারিয়ে যাব,
শহরের সমস্ত ধুলোয় বিলীন হব,
এ শহরের সব পাপ গ্রাস করবে আমায়।


প্রকৃতি ঘুমিয়ে গেলে,
তোমাদের ঘুমন্ত প্রতিবিম্বে পরে
নর্দমার কীটের আস্তর;
তোমাদের মনস্তত্ত্ব সভ্যতায় বাক্সবন্দি,
অশ্লীলতা যেন জীবনের জটিলতর সুন্দর!


আস্তে আস্তে সুন্দরের হিংস্রতায়,
আকাশ তেড়ে আসবে অশান্ত শহরের বুকে!
তারপর একদিন ভীষণ বর্ষায়
আমি থাকব না জানালায়,
বরং আমার স্যাঁতসেঁতে বুক চিরে,
এ বিষণ্ণ শহরে, মাথা তুলবে একটা বৃক্ষ।


শহরের প্রতিটা মুষ্টিবদ্ধ ক্ষোভ,
রক্তিম ঠোঁটযুক্ত প্রতিটা নারী,
ঘামে পিষে যাওয়া আধ-পাকা চুল-দাড়ি,
আর কবিতার দু-চারটে চরণ-
এসব মেঘেদের বজ্রপাতে
ধড় থেকে খসে পরবে মস্তক, সভ্যতার পাদভূমে;
এ বিষণ্ণ শহর অনন্তকালে বিভোর হবে,
আরো একটা বুক চৌচিরের আক্ষেপে।


অতঃপর এক গোধূলির গুমর ভেঙে,
তোমাদের দেব আধো রক্তিম এক দিগন্ত,
সহস্র শিশিরের আঘাতে ভাঙবো পাপাচ্ছন্ন তন্দ্রা;
তোমাদের পূর্বসূরিদের বুক চিরে,
শহরের প্রতিটা সভ্যতার তীরে,
জেগে উঠবে সহস্র বৃক্ষ।
বৃক্ষ না, এরা আমি; অমরত্ব;
তোমাদের পাপের তেজস্ক্রিয়তা মগজে নিয়ে,
আরো একবার পৃথিবীকে অভ্যর্থনা জানাই!