ইচ্ছে ছিল বছরের শুরুতেই একটা গোলাপ তোমার হাতে ধরিয়ে দিব!
তোমার কপোলে চুমু খেয়ে বুকে জড়িয়ে নিব। হিমশীতল গায়ে পৌঁছে দেব লোমশবক্ষের উষ্ণতা।
প্রতিটি শ্বাসপ্রশ্বাস জুড়ে তুমিময় ঘ্রাণে মাতোয়ারা হব। তোমাকে আলিঙ্গন করে ভুলে যাব এক পৃথিবীর সকল বেদনাবিধুর রাত্রির যন্ত্রণাদগ্ধ কথা।


তুমি হয়ে উঠবে দেবী। তোমার বুকে গড়ে উঠবে রাজত্ব। রাজ্যের শাসন ভার হস্তান্তর করে তুমি নিজেকে লুকোবে বাহুডোরে।
প্রেম আর প্রীতির সম্মিলনে ভুলে যাব আজন্মের সব অব্যক্ত শব্দ। তোমাকে বলা হয়নি, এ যাবত এমনকিছু আছে কিনা খুঁজে নিবো একমুহূর্তে...


শুধুমাত্র তোমার ঠোঁটের কথা ভেবে, এখনো ঠোঁট ছুঁয়নি এলকোহল কিংবা তামাকের কঠিন নিকোটিন! বিশ্বাস করো, তোমাকে দেবী করে পুজো দিব বলে, মনমন্দিরে আর কোনো প্রতিমার জায়গা হয়নি।
তোমার চরণে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করব বলে, এখনো প্রতীক্ষায় রাত পোহাই!


এসো দেবী, দেখে যাও বুকের ভেতর জমিয়ে রাখা শতরাত্রির যন্ত্রণা! এসব আমারই থাকুক৷ তুমি বরং পুষ্পাঞ্জলি নিয়ে যাও। গ্রহণ করো পুজো। নিয়ে যাও হৃদয় নিঙড়ানো ভালোবাসা।
আর দেখে যাও, তোমার জন্য সাজানো অটবি। যেথায় তোমারই বন্দনায় কেঁদেকেটে অথৈজলের সমুদ্র।
দেবী, তোমার ভালোবাসায় আমি পাহাড় হতে চেয়েছিলাম। এখন সমুদ্রে ভাসছি৷ তোমাকে, শুধু তোমাকে ভালোবেসে।
দেবী, তোমার প্রতীক্ষায় পুষ্পাঞ্জলি হাতে পথচেয়ে আছে মন! এই মন মন্দিরে একটাই রাণী, দেবীর আসন অলংকৃত করে আছে।
তুমি একবার এসে দেখে যাও, সেই দেবীর আজানুকেশের আলেখ্যদর্শন!


বছরের প্রথম কিংবা শেষ। তুমি থেকো!
মনের রাণী, ওহে দেবী— জেনে নাও তবে, তুমিহীন একদিন কাটে ভীষণ মলিন...