কেমন আছিস প্রিয়, প্রিয়তা?
ভালো আছিস? আমাকে মনে পড়ে? আমি কীভাবে তোকে এতদিন পর চিঠি লিখলাম, এইভেবে বেশ অবাক হচ্ছিস না?
আমি তো তোকে সকালসন্ধ্যে বুকের ভেতর জমিয়ে রাখি।
তোকে বলা হয়নি যে কথাগুলো সেগুলো রেখেছি আমার একান্ত জাদুঘরে। দেখা হওয়ামাত্র চট করে বলে ফেলব। শুনবি তো?


তুই আছিস প্রবাসে। আমি দেশেই রয়ে গেলাম। দেশের কথা মনে হয় তোর? দেশে তোর খুব কাছের মানুষ কে রে?


এখন ঘুরতে যাস কোথাও? আর চলছিস কেমন? খাচ্ছিস কি? এখনো কি এটাওটা সব খাস?
একটা কথা এখনো জিজ্ঞেস করা হয়নি, দেখ দেখি কি কাণ্ড।
শোন তাইলে, বিয়ে করেছিস?
তোর স্বামী কি করে? ছেলেমেয়ে ক'জন রে? নাম কি ওদের?
আমার কথা বলিস ওদের? ওরা চেনে আমায়?


বাদ দে ওসব কথা,
যা বলতে লিখলাম চিঠি।
আমাকে ছেড়ে একেক করে সবাই চলে গেছে, বুঝলি? আছি শুধু আমিই আমার হয়ে। এ যেনো দেবদাসের মত অবস্থা। যা বলতে চাচ্ছিলাম তোকে, বয়স হয়েছে। চোখে চশমা লেগেছে। চুলে পাক ধরেছে। আগের মত আর সৌন্দর্য নেই।
ইদানীং তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করে। মনে হয়, এই তো তুই। পাশেই বসে আছিস। এটাওটা নিয়ে কথা বলছিস। মাঝেমধ্যে দু'একটা কথা নিয়ে ভেঙছি কাটছিস।
কেনো দেখতে ইচ্ছে করছে, জানিনা। কি তার কারণ। তুই দেশে আসবি কবে? জানাস আমায়। আমি তোর অপেক্ষায়। তোকে দেখে যাই, যাবার বেলা।


তুই আবার ভাবতে যাসনে, আমি আবার যাচ্ছি কই? দেশেই আছি৷ তবে জীবনের সন্ধ্যে হয়ে এলো যে। এবার তো যেতে হবে। এই সন্ধ্যেবেলা তোকে খুব দেখতে ইচ্ছে করছে...


আসবি তো?


ইতি
আদি