একদিন এক বিকেলবেলা
সময় ফুরিয়ে তখন সন্ধ্যা
সকলেই যখন ঘরমুখে যাত্রা করে
এমন সময় সুনসান নীরবতা ভেঙে
তুমি ডাকলে যেনো কাকে!


কান পেতে শুনলো ছেলে-বুড়ো-নারী
থমকে গেলো পথঘাট, জনপদ
সকলেই চোখ রাখে তোমার দিকে
কে তুমি? কে তুমি? ডাকলে কাকে?
কণ্ঠে এমন মায়াজাদু— কই পেলে?
এক নিমিষেই শব্দচিহ্ন এঁকে দিলে
মনের অতল গহব্বরে।


একজন খুব কাছে এসে বললে,
আমাকে বুঝি ডাকলে?
আরও একজন দূর থেকে বললে,
আমাকে?
তুমি বললে, না আপনাদেরকে তো নয়
আমি ডেকেছি, আমার মানুষকে!


তারপর সকলেই যার যার মত
চলে যায়, সরু পথ ধরে
তোমার মানুষ, একান্তই তোমার হব বলে
থেকে যাই কেবলই আমি
এই জনপদে, যেখানে এসেছিলে
পদচিহ্ন ফেলে হাসিমুখে
ডেকেছিলে তুমি।


তারপর আজ কতকাল কেটে গেলো
কতজন আসে যায়, গান গায়
কথা কয়, কতরকমের মায়ায়
তোমার মত করে কেউ বলে না—
শুনছেন!
আমি এখনো কান পেতে শুনি
এখনো চোখ বুঝলে দেখি
এখনো বুদ হয়ে চৈতন্যে ফিরি
নাম না জানা, তবুও চোখের কোণে
বেশ লুকিয়ে আছো— সেই তুমি।


যদি কোনদিন হঠাৎ একদিন
ঘরমুখো মানুষের ভিড়ে
সন্ধ্যালগ্নে তোমাকে পেয়ে যাই
বলি, তুমি কি সেঁজুতি!
এই বলে যদি কদম ফেলি
পথের পানে
তুমি ডেকে বলবে তো,
ওই আগেরই মত
মায়া আছে যত, সব মাধুরি মিশিয়ে—
শুনছেন?