ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল সম-পরিমাণ
প্রশস্ত বুক বুলেটবিদ্ধ হলো কালোরাতে
নিষ্ঠুরতা ঠিক কোন পর্যায়ে পৌঁছলে
জন্মদাতাকে হত্যা করা যায় এভাবে ?
পঁচাত্তরের আগস্ট তার জলন্ত উদাহরণ
হত্যাযজ্ঞে শামিল এদেশের সোনার ছেলেরা
কাউকে ছাড়েনি বড় কিংবা সর্বকনিষ্ঠ
উদ্দেশ্য মুজিবুর নামটি মিটিয়ে দেওয়া।
সেদিন হয়তো ভুলেই গিয়েছিল নরপশুরা
পিতাকে কোন সন্তান ভুলতে পারে-না।
এক নদী রক্ত বইয়ে দিয়ে
কি এমন পেয়েছিস বলতে পারিস!
এই স্বাধীন দেশের জন্মদাতার আয়ু
অন্তত শতবর্ষ হওয়া প্রয়োজন ছিল।
তবেই পূর্ণ হতো সদ্যোজাত একটি
দেশের অনেক অধরা স্বপ্ন বাস্তবায়ন।
পৃথিবীর অধিকাংশ দেশ তার জনককে
হারিয়েছে ঠিক একইভাবে ঘৃণ্যস্বার্থে ।
তেমনি চক্রান্ত থেকে বাদ যায়নি
এদেশের স্বাধীনতার রূপকার চার হাজার
ছয়শত বিরাশি দিন জেলখাটা মানুষটি
পরিবারের বিশজন সদস্য ক্ষমা পায়নি
বত্রিশ নাম্বারের বাড়ির প্রতিটি ইট
আর সাতকোটি মানুষ তার রাজসাক্ষী
তুমি স্বার্থক হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ-বাঙালি
হে মহান বাঙালি জাতির পিতা
তোমার অর্জিত স্বাধীনতা, সার্বভৌম রাষ্ট্র
আজ ভোগ করছে কোটি মানুষ
নিজেকে বাংলাদেশী বলে পরিচয় দিচ্ছে
মাথা উচুঁ করে দাড়িয়ে বিশ্বদরবারে।
যদিও -এর মধ্যে তোমার হত্যাকারীরা
উপভোগ করছে স্বাধীনতার নোনা স্বাদ।
—ইমরান শাহ্