চোখের জল গড়িয়ে পড়ছে তার,
কেউ যেন চাপিয়ে দিয়েছে দুঃখের ভার,
মন তার করছে হাহাকার,
ভাবছে সেই একটি কথা বারবার।
“বলল, তার কলম এবার,
আমি এবার খারাপ করেছি,
এস.এস.সি পরীক্ষায় খারাপ করেছি,
তাই আমি এখন আমার জীবন নিচ্ছি,
রেজাল্ট দেখে চোখ দিয়ে পানি গড়িয়ে পড়ছিল,
তাই আজ এই চিঠিতে লিখছি আমি আমার জীবনের উপসংহার।
চোখের জল ফেলে ফেলে ঘরে ঢুকলাম আমি,
মাকে দিলাম বুঝ,
বললাম আমি, মাগো সময় টারে দিই নাই দাম,
তাই হলো এমন কাম।
বাবা বলল, এমনি তে এই বছর যাই,
আবার পরীক্ষা দিকে দেখ, কেমন হই উপায়।
সবকিছু মিটে গেল চার দেয়ালের এই বদ্ধ ঘরে, কিন্তু সম্মান তো রইলো না  বাইরে।
পাছে লোকের সাত-পাঁচ দিচ্ছে আমার মনে গুঁতা,
পাশের বাসার প্রতিবেশীরা ছুড়ছে কথার জুতা, তারা কি বুঝতে পারে না অন্যের মনের ব্যাথা।
তাদের সেই কটূক্তি বাবার মানে দিল কাঁদা,
সেই কারণে রাগ ছুটল আগুনের গোলার মতো,
সেই রাতে বাবা মারে মারল কতো,
আমার অপরাধের ফল এটা টিক নই তো।  
তাই সবাইকে শান্তি দেওয়ার জন্য আমি করছি আত্মহত্যা।  
আর এটাই আমার শেষ বার্তা।“
এই বলে তার কলম গেল থেমে,
ফাঁসির দড়ি গলায় ঝুলিয়ে সেও গেল থেমে।
দেখে মা এই চিঠি, কেঁদে দিল লোক প্রেমে
কিন্তু এই আত্মহত্যায় বাঁধতে পারল  খোকা আর মাকে একটি ছবির ফ্রেমে।
একটি ছবির ফ্রেমে.......