এই যে মেয়েটি দেখলেন?
কর্পূরের মতো উবে গেলো শান্তিপুর লোকালে।
ও আমার প্রেমিকা নয়,
ও আমার প্রথম উৎকণ্ঠা!
ও কলকাতা আর্ট কলেজের ছাত্রী।
১১ই নভেম্বর আমাদের হঠাৎ পরিচয়।
হাসনাবাদ লোকালের কোন এক রেল কামরায়।


ওর প্রণয়ে আমি বিস্মৃত!
রেলকামরার প্রতিটি জানালা জুড়ে খুঁজে চলি ওই প্রিয় মুখ।
ওর কারণে এই আসন্ন বসন্তের যত সুবাসমুদিরা
আমাকে আহত করে, যন্ত্রণা দেয়
বিক্ষিপ্ত উল্কাপিণ্ড কিংবা নিক্ষিপ্ত তারকারাজির মতো।
সব শেষে, ওরই অস্তিত্বে আমি খুঁজেফিরি।


এই যে মেয়েটি দেখলেন !
শিয়ালদাহের জনভীড়ে হারিয়ে গেল।
ও আমার প্রেমিকা নয়!
ও অনন্যা!
ও চলে গেলো কিন্তু নিয়ে গেল ঢের অনেক বেশি,
ওর স্নিগ্ধ হাসির মুগ্ধতা ,
ছুঁয়ে দিলো আমার বিনিদ্র রজনীপট!


এই যে মেয়েটি দেখছেন?
আমার পাশে বসে আছে,এক রাশ মন খারাপ নিয়ে!
না,না ও কোনো পৃথাগোরাসের উপপাদ্য নয়,
নয় কোনো মায়া এঞ্জেল কিংবা সুনীলের কোন কবিতা,
ও আমার প্রথম প্রেম।


৩১শে ডিসেম্বর, আমাদের শেষ কথা
দ্রাক্ষালতার মতো বাঁধা পড়ে রইলাম
ক্ষত,বিক্ষত আমার জখমকে সঙ্গী করে।
অনেক কথা না বলেও সে বলে গেল অনেক কথা!
শেষ বারের মত শুনিয়ে গেল,
“কি মায়ায় বেঁধেছো আমায়...........
পিয়া গো,
ভালোবেসে ফেলেছি তোমায়...........”
শান্তিপুর লোকাল চলে গেলো।
আজও এক বুক ক্ষত নিয়ে খুঁজেফিরি,
রেলকামরার প্রতিটি জানালায় সেই প্রিয় মুখ!