ডুবেছে জাহাজ,  কিন্তু উদ্ধারে আসেনি কোনো সহৃদয়, বণিকপ্রবর ।
ভেসে গেছে সঙ্গী-সাথী , মাঝি-মাল্লা,  রক্ষী-দাসী, লোক-লশকর ।
জাহাজের ভাঙ্গা কাঠ , ভেসে ওঠা ভালোবাসা ,  
আঁকড়ে তাই একা ভেসে চলি ;
সেনরিটা ‘ অন্য ’ রত্নাবলী !


সমুদ্রের নোনাজল আর কিছু নয় , শুধু জননী ধরার যত অশ্রুর সঞ্চয় ।  
একসমুদ্র চোখের জল, তাতে আরো কিছু ফোঁটা, হবে জানি শুধু জলাঞ্জলি !!
হাসিমুখে ভেসে যাই , উত্তাল ঢেউয়ের ঘা্তে ,
হাঙ্গর-পিরানহার সাথে ,
অন্য এক আমি রত্নাবলী ।


ভুলেছে সে রাজ্যে ফিরে, অ্যালজাইমারের গুণে, সব স্মৃতি, সেনর উদয়ণ ।
আসেনি আমার গল্পে, দরদী , কিউপিড কোনো অবতার যৌগন্ধরায়ণ !
বাসবদত্তা রাজরাণী  , সতীন-কাঁটা সে জানি , দুর্লঙ্ঘ্যা , ঈর্ষাকাতর ।
তবু কি যে অন্ধ জেদে , চুম্বক-স্বপ্নের টানে ,
খুঁজে ফিরি কৌশাম্বী-বন্দর !!


দুঃখিত হে মহাকবি, মিলেছে তো অন্য সবই, তবুও আক্ষেপের সাথে বলি ;
তোমার নায়িকা নই ! নই সেই আধফোটা, সুকোমল ও লজ্জানতা , কলি  ।
অন্য শতাব্দীর পার , কালচক্রে ক্ষুরধার ,
স্পর্ধিতা , দুর্বিনীতা , যোদ্ধা আমি লহুস্নাতা ,
সেনরিটা, অন্য  রত্নাবলী ।