অদ্য ঊষাকালে , পুনঃ বিচিত্র স্বপন ,
করিতেছি কৃষ্ণডাকে অর্থ উপার্জন !!
ডাকি নাই ‘কৃষ্ণ, কৃষ্ণ’ , উহা ‘কৃষ্ণডাক’!
অতি বড় দুষ্কর্ম , ইরাদা নাপাক !
ছিলো সে শিকার মোর রামপক্ষী-যথা ।
মস্তিষ্ক শূণ্যপ্রায় , বিত্তবান অযথা !
একদা যদা সে ছিলো কুকর্মে আসীন ,
গোপনে গবাক্ষপথে দেখিনু সে সিন ।
প্রাক-তথ্য অনুসার ছিলেম প্রস্তুত।
সাংখ্য-আলোকচিত্রে , ধরি সকল করতূত।
শুনে নাই শব্দ কোনো রাষভ-নন্দন !
দেখে নাই ফ্ল্যাশটুকু শ্যালক মদন !
খাজানার সূত্র লুটি দিলেম চম্পট ।
জানিলো না কিছুমাত্র , নির্বোধ-লম্পট।
অতঃপর কৃষ্ণডাক শুরু করিলাম ,
লহিয়া রাধামাধব-শ্রীহরির নাম ।
চমকাইয়া ধমকি-ফোনে, অতঃপর ডাকে
আলোকচিত্র-কপিগুচ্ছ পাঠাইলাম তাকে।
“টাকা-মাটি, মাটি-টাকা”, ইহা ভ্রান্ত বাণী ,
টাকা-ফটো , ফটো-টাকা, সত্য তাহা জানি।
মন্দবুদ্ধি , ভীত অতি , ফাঁসিলো সে জালে।
লুটিলাম ধনরাশি অতি স্বল্পকালে।
কিন্তু হায় , মেসো তাহার ছিলো নগরপাল ।
গোপনে সন্ধান পাইলো , এমনই কপাল !
ভাবিলাম ধৃত হইবো , কিন্তু কি অবাক !!
নগরপাল করে মোরে পাল্টা কৃষ্ণডাক !!
চাহিতেন সে পূজ্য মেসো নিত্য কমিশন !
পড়িলাম কি বিপাকে , আপদ ভীষণ !
হেনকালে দরোজায় ডোরবেল শুনি ,
ধড়মড়াইয়া , নিদ্রা ভাঙ্গি উঠিলাম তখনি।
অদ্যাবধি বন্ধুগণ চিত্তে বড় ভয় !
প্রাতঃস্বপ্ন সত্য শুনি প্রায়শই হয় !